তারা দুজনেই ভিন্ন ভিন্ন মানুষের সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন। তাদের ওই কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর থেকে তাদের নিয়ে বিদ্যালয়ে হাঁসি-তামাশার রোল পড়ে। কারণ তারা স্কুলের ভেতরে প্রায়ই বিভিন্ন কক্ষের দরজা লাগিয়ে যৌন মিলনে লিপ্ত হতেন যা শিক্ষার্থীদের নজরে পড়ত। এতে এমনকী পড়াশোনায় মনোযোগ হারানোর কারণে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফলও খারাপ হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ ওঠে।
একবার ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্র শিক্ষিকা থমাসকে দেখে মুখ দিয়ে যৌন উম্মাদনার আওয়াজ করে ঠাট্টা করলে তাকে শৃঙ্খলাভঙ্গ না করার জন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়। এমনকী শিক্ষার্থীরা নিজেদের মাঝে ওই দুই শিক্ষক-শিক্ষিকার গোপন অভিসার নিয়ে গল্প-গুজবে মেতে ওঠায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ সভা করে এ নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে তাদেরকে পরীক্ষার পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেয়।
বিদ্যালয়টির কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকবার ওই দুই শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষের দরজা লাগিয়ে যৌন মিলনে লিপ্ত হতে দেখেছে। তবে তাদের এই গোপন সম্পর্কের কথা পুরোপুরি ফাঁস হয়ে পড়ে তখনই যখন ১৫ বছর বয়সী এক বালক তার মোবাইল ফোনে ধারন করা একটি ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়। ওই ভিডিওতে সহকারি প্রধান শিক্ষকের ঘরের দরজার বাইরে থেকে ভেতরে কারো নড়াচড়া ও ভারি শ্বাস-প্রশ্বাসের আওয়াজ শোনা যায়। এমনকী বেথান থমাস নামের ওই শিক্ষিকার গলার আওয়াজও শোনা যায়।
গত বছর ২৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ফেসবুক-ইউটিউবে আপলোড করার পরপরই ওই দুই শিক্ষক-শিক্ষিকা পদত্যাগ করেন। ভিডিওটি আপলোড করার পরপরই কয়েক হাজার বার দেখা হয়।
এ ঘটনায় ওই দুই শিক্ষক-শিক্ষিকাকে গতকালও বিদ্যালয়টির একটি বিচার কার্যক্রমে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে হয়। শুনানি অব্যাহত রয়েছে। শুনানি শেষে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে।
Discussion about this post