সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বিল সংসদে পাস হয়েছে। ‘বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বিল-২০১৭’ নামে এই বিলটি পাস হয়।
জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মঙ্গলবার (০৭ মার্চ) শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলে যেসব বিধান রাখা হয়েছে তা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কনফিডেন্স সার্টিফিকেট বাতিলসহ জরিমানা করা হবে। অ্যাক্রেডিটেশন সনদ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান অ্যাক্রেডিটেশনপ্রাপ্ত বলে প্রচার করতে পারবে না। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক ছাড়া কোনো সার্টিফিকেট প্রদান করতে পারবে না।
এর আগে বিরোধীদলের কয়েকজন সংসদ সদস্য বিলটি জনমত যাচাই প্রস্তাব করলেও তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিরোধী সদস্যদের আনা সংশোধনী প্রস্তাবগুলোও গৃহীত হয়নি। সংশোধনীগুলো কণ্ঠভোটে বাতিল হওয়ার পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটি পাসের জন্য ভোটে দিলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
বিলের বিধান অনুযায়ী, একজন চেয়ারম্যান, চারজন পূর্ণকালীন সদস্য এবং আটজন খণ্ডকালীন সদস্যের সমন্বয়ে এই কাউন্সিল গঠন করা হবে। বিলে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান-সদস্য নিয়োগ, যোগ্যতা ও তাদের মেয়াদ, কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কার্যাবলী, কাউন্সিলের সভা, কাউন্সিলের সচিব ও কর্মচারী নিয়োগ, অ্যাক্রেডিটেশন কমিটি গঠন, বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং ফ্রেমওয়ার্কসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান রাখা হয়েছে।
Discussion about this post