রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুল ইসলাম শিমুল বিশ্বাস, প্রেস সচিব মারুফ কামাল, বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত বিএনপির সাবেক যুগ্মমহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (২৫ মে) মামলাটির চার্জশিট বিচারের জন্য আমলে নিয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এ মামলায় পলাতক ২৭ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতটির অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল বিষয়টি বাংলনিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
২০১৫ সালের ৬ মে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় পৃথক দু’টি চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই বশির আহমেদ।
একই বছরের ১৯ মার্চ বিশেষ ক্ষমতা আইনে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। তিনটি চার্জশিটেই খালেদা জিয়াকে চার্জশিটে প্রধান আসামি করা হয়।
চার্জশিটে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বরকত উল্লাহ বুলু, আমান উল্লাহ আমান, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, বিশেষ সহকারী শামসুল ইসলাম শিমুল বিশ্বাস, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, মীর আবু জাফর শামসুদ্দিন দিদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ, তার ছেলে তানভীর ওরফে রবিন, নবীউল্লাহ নবী, কাইয়ূম কমিশনার, লতিফ কমিশনার এবং পেশাজীবী দলের নেতা সেলিম ভূঁইয়া।
২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা ছোড়া হলে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামে এক বৃদ্ধ।
এ ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন থানার উপ-পরিদর্শক কে এম নুরুজ্জামান। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/২৫(ঘ) ধারায় দায়ের করা মামলায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির ১৮ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া, হামলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবে যাত্রাবাড়ী বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীসহ মোট ৮০ জনকে মামলার আসামি করা হয়।
Discussion about this post