সিলেটের বিতর্কিত শিল্পপতি রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের জালিয়াতির মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। রায়ে উভয়ের ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালত তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো এ রায় ঘোষণা করেন।
সিলেট জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ জানান, তারাপুর চা বাগানের হাজার কোটি টাকার দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি স্মারক জালিয়াতির ঘটনায় বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় উভয়কে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এই দু’জনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা একই আদালতে বিচারাধীন। এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের পর বাবা-ছেলে ভারতে পালিয়ে যান। পরে নভেম্বরে আবদুল হাই দেশে ফিরলে ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং রাগীব আলী ভারতীয় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। দু’জনই বর্তমানে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
১৯৯০ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক নম্বর জালিয়াতি করে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে তারাপুরের ৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গা দখল করেন রাগীব আলী। ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম আবদুল কাদের বাদী হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি এবং আত্মসাতের ঘটনায় দুটি মামলা করেন। এর বিরুদ্ধে রাগীব আলী উচ্চ আদালতে গেলে মামলাগুলো স্থবির হয়ে পড়ে। পরে গত বছরের ১৯ জানুয়ারি দুটি মামলা পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সর্বোচ্চ আদালত।
গত বছরের ১০ জুলাই উভয় মামলায় তদন্তকারী সংস্থা পিআইবি আদালতে পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করে।
Discussion about this post