শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ প্রদানের অপকারিতার কথা জানা গেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। এতে জানা যায়, শিশুকে নানা কারণে অ্যান্টিবায়োটিক প্রদান করা হলে তা পরবর্তীতে তাদের দ্রুত ওজন বাড়াতে পারে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে আইএএনএস।
গবেষকরা জানিয়েছেন, তাদের তথ্যপ্রমাণে দেখা যাচ্ছে, যারা ছোটবেলাতেই নানা কারণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে তাদের পরবর্তী জীবনে বডিম্যাস ইনডেস্ক বা বিএমআই-এ প্রভাব পড়ে এবং ওজন বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়।
গবেষকদের প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এর প্রফেসর ব্রায়ান স্কুয়ার্জ বলেন, ‘ছোটবেলায় গ্রহণ করা অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে আপনার বিএমআই সম্ভবত চিরদিনের জন্য পরিবর্তিত হয়ে যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের তথ্যে দেখা যায়, যতবার আমরা শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক দেব, পরবর্তীতে তাদের ওজন তত তাড়াতাড়ি বাড়বে।’
এ গবেষণার জন্য ১ লাখ ৬৩ হাজারেরও বেশি শিশুকে পর্যবেক্ষণ করা হয়, যাদের বয়স ছিল তিন থেকে ১৮ বছর। ২০০১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ জরিপ পরিচালিত হয়। এতে তাদের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের তথ্য পর্যালোচনা করা হয়।
গবেষকরা জানান, যেসব শিশু সাত বা তার বেশিবার অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করে তাদের ১৫ বছর বয়সে অন্য শিশুদের তুলনায় গড়ে তিন পাউন্ড বেশি ওজন দেখা যায়।
এর কারণ হিসেবে গবেষকরা জানিয়েছেন, অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবে দেহের ক্ষতিকর জীবাণুর পাশাপাশি উপকারি জীবাণুও মারা যায়। ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবে হজমতন্ত্রের ওপরেও প্রভাব পড়ে এবং দেহের ওজন বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
গবেষণার সারমর্ম প্রকাশিত হয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ওবেসিটি’ অনলাইনে।
Discussion about this post