শিশু আইন বলবত থাকার পরেও লালসালু ঘেরা কক্ষে শিশু আদালতের বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ায় আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে তা শিশুর জন্য উপযুক্ত নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের জারিকৃত সার্কুলারে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এ কথা বলা হয়।
এতে বলা হয়েছে, আইনানুযায়ী শিশুর বিচারের সময় বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ বা আদালতের কোন কর্মচারী আদালত কক্ষে পেশাগত বা দাপ্তরিক ইউনিফরম পরিধান করতে পারবেন না। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নির্দেশে এ সার্কুলার জারি করা হয়।
সার্কুলারে বলা হয়, শিশু আইন, ২০১৩ এর ১৬ ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক জেলা এবং মেট্টোপলিটন এলাকার এক বা একাধিক অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতকে শিশু আদালত হিসাবে নির্ধারণ করার বিধান রয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের শিশু অধিকার সংক্রান্ত বিশেষ কমিটির গোচরীভূত হয়েছে যে, শিশু আইনের ১৭(৪) ধারা প্রতিপালিত হচ্ছে না।
এই ধারায় বলা হয়েছে, সাধারণত যে সকল দালান বা কামরায় এবং যে সকল দিবস ও সময়ে প্রচলিত আদালতের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় তা ব্যতীত যতদূর সম্ভব অন্য কোন দালান বা কামরায়, প্রচলিত আদালতের ন্যায় কাঠগড়া ও লাল সালু ঘেরা আদালত কক্ষের পরিবর্তে একটি সাধারণ কক্ষে এবং অন্য কোন দিবস ও সময়ে প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি ব্যতীত শুধুমাত্র শিশুর ক্ষেত্রে শিশু আদালতের অধিবেশন অনুষ্ঠান করার বিধান রয়েছে।
এজন্য শিশু আদালতের অধিবেশনের জন্য আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা করা না গেলে পর্দা দিয়ে এজলাস কক্ষ, ডক, কাঠগড়া ঢেকে শিশুর জন্য উপযুক্ত পরিবেশের ব্যবস্থা করতে হবে। পর্দা দিয়ে শিশুর জন্য উপযুক্ত পরিবেশের ব্যবস্থা করা সম্ভব না হলে আদালতের বিচারক তার খাস কামরায় বিচার কার্য পরিচালনা করবেন।
পাশাপাশি শিশুর জন্য উপযুক্ত ওয়েটিং রুমের ব্যবস্থা করতে হবে। মামলা শুনানির আগে বা পরে যাতে শিশুরা সেখানে অবস্থান করতে পারে। এছাড়া যে সকল শিশু আদালতে ভিডিও কনফারেন্সের সুবিধা আছে সে সকল আদালতে ভিডিও লিংক ব্যবহার করে ব্যক্তিগত হাজিরা হতে শিশুর কার্যত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এমতাবস্থায় শিশু আইনের বিধানাবলী প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকগণকে নির্দেশনা প্রদান করা হল।
Discussion about this post