নয় বছরের শিশুকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় মো.জসিম উদ্দিন নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন অর্থাৎ ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ের আরেক ধারায় আদালত আসামিকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোতাহির আলী এই রায় দিয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালের পিপি এম এ নাসের গণমাধ্যমকে বলেন, আসামিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় যাবজ্জীবন এবং ১০ (১) ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সাজার মেয়াদ ৩০ বছর। সেই হিসেবে আসামির ৪০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
তবে রায়ে দুটি পৃথক ধারায় দেওয়া সাজা একসঙ্গে কার্যকর হওয়ার কথা উল্লেখ থাকায় আসামিকে ৩০ বছর শাস্তি ভোগ করতে হবে বলে জানান পিপি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডিত জসিম উদ্দিন লোহাগাড়া উপজেলার সিকদারপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে। ঘটনার পর গ্রেফতার হওয়া জসিম জামিনে গিয়ে পালিয়ে গেছেন।
ঘটনার শিকার শিশুটি লোহাগাড়া উপজেলার একটি মাদ্রাসার ছাত্রী। তার বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার কেওচিয়া ইউনিয়নের বাইতুল ইজ্জত এলাকায়।
তবে তার বাবা লোহাগাড়া উপজেলায় পোস্টাল অপারেটর পদে কর্মরত থাকায় পরিবার নিয়ে জসিমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
২০০৩ সালের ১৯ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় শিশুটি মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় জসিম তাকে তুলে পাশের জমিতে নিয়ে যায়। এরপর তার শ্লীলতাহানি করে। ২১ মে শিশুটির বাবা লোহাগাড়া থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ জসিমকে গ্রেফতার করে।
২০০৩ সালের ২০ জুলাই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। পরের বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর উভয়পক্ষে যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
পিপি এম এ নাসেরকে আদালতে সহযোগিতা করেন আইনজীবী বিবেকানন্দ চৌধুরী।
Discussion about this post