গত বছর ২৯ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জের পশ্চিম মুগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আবদুল্লাহকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি খোরশেদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ বুধবার (১৪ জুন) ঢাকার তিন নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, আসামি শামীমকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, আসামি মিতুকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদণ্ড। অপর আসামি নাসিমাকে খালাস প্রদান করা হয়। আসামি খোরশেদকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত।
এর আগে, যুক্তিতর্ক শেষে ৮ জুন রায় ঘোষণার জন্য এই দিন ধার্য করেন বিচারক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর ইউনিয়নের মুগারচর গ্রামের পশ্চিম মুগারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মো. আবদুল্লাহ ২০১৬ সালের ২৯ জানুয়ারি দুপুরে নিখোঁজ হয়। ওই দিনই আসামি মেহেদী হাসান ওই শিশুকে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায় এবং আসামি মোতাহার ও খোরশেদ মুখ চেপে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
হত্যার পর আবদুল্লাহর লাশ প্লাস্টিকের ড্রামে ভরা হয় এবং আসামি কায়কোবাদকে লাশ ফেলার জন্য ভাড়া করা হয়। এর আগে মুঠোফোনে তাকে অপহরণের দাবি করে দুই দফায় ২ লাখ টাকা নেয় অপহরণকারীরা।
২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আবদুল্লাহর বাড়ির মাত্র ১০০ গজ পশ্চিমে মোতাহার হোসেনের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরা আবদুল্লাহর গলিত লাশ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় ৩১ জানুয়ারি আবদুল্লাহর নানা মারফত আলী বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এরপর ওই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার মূল আসামি মোতাহার হোসেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
একই বছরের ৯ মার্চ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার আসামিরা হলেন- খোরশেদ আলম (পলাতক), মেহেদী হাসান শামীম, মিতু আক্তার, নাসিমা বেগম ও মোতাহার (বন্দুকযুদ্ধে নিহত)। মামলায় ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
Discussion about this post