রাজশাহীর পুঠিয়ায় বাসের সিডি প্লেয়ার চুরির অভিযোগে ১২ বছরের এক শিশুকে ট্রাকের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের পর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় আইনগত কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৭ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে রাজশাহীর এসপি ও পুটিয়া থানার ওসিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ আদেশ দেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি একটি ইংরেজি দৈনিকে ‘১২ বছরের শিশু নাজমুলকে নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সিডি নষ্ট করার অভিযোগে নাজমুলকে মারধর ও মাথার চুল কেটে দেয়া হয়। এ প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ মাহমুদ হাসান ও ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান।
আজ সেই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট উপরোক্ত আদেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান। আদেশে হাইকোর্ট এ ধরণের ঘটনায় পুলিশের পদক্ষেপ না নেয়া কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিপি পরিবহনের বাস থেকে সিডি প্লেয়ার চুরি হয়। এই অভিযোগে বাসের সহকারী নাজমুল হককে (১২) মঙ্গলবার ভোরে বাসের চালক, সুপারভাইজার ও অন্য কর্মীরা মিলে একটি ট্রাকের সামনের বাম্পারের সঙ্গে দঁড়ি দিয়ে বেঁধে কয়েক ঘণ্টা ধরে নির্যাতন করে। শেষে তার মাথার চুল কেটে মুখে পোড়া মবিল মাখিয়ে দেওয়া হয়। সকাল ১০টার দিকে এলাকার লোকজন ঘটনাটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। এরপর ছেলেটিকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।
Discussion about this post