যশোর সদরের দেয়াড়া এলাকার শিশু শামীম ও ঢাকার রফিককে ভারতে পাচার মামলায় সুমন দে নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৯ জুন) এক রায়ে মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক অমিত কুমার দে এ সাজা দেন।
সুমন দে চাঁদপুর সদরের বকুলতলা এলাকার মানিক দে’র ছেলে। সুমন জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৩ মার্চ বেলা ১১টায় যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন সাদীপুর পশ্চিমপাড়া মসজিদের পেছনে দুই শিশুর কান্না শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। এ সময় শিশু শামীম জানায় তার বাড়ি যশোর সদরের দেয়াড়া গ্রামে, তার বাবার নাম মৃত আব্দুল লতিফ। অপর শিশু রফিক জানায়, সে ঢাকা উত্তরার আশকোনা হাজী ক্যাম্পের পাশের বাসিন্দা তবারক আলীর ছেলে। সুমন তাদের ভারতে পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। ওই সময় স্থানীয়রা সুমনকে ধরে পুলিশে সংবাদ দেয়। পুলিশ সুমনকে আটক ও শিশুকে উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্ট থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সাদীপুর গ্রামের মৃত ইয়ার মল্লিকের ছেলে শাহ নেওয়াজ বাদী হয়ে মানবপাচার অপরাধ দমন আইনে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ এপ্রিল সুমনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল জলিল।
মামালার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি ইদ্রিস আলী।
Discussion about this post