নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুদক শুধু চুনোপুঁটিদের ধরছে না, রাঘববোয়ালদেরও ধরছে। অনেক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরও অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেছেন তিনি।
প্রতিনিধি দলের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধীদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে। কারণ দুর্নীতি একটি গভর্নেন্স ইস্যু। আমরা সমন্বিতভাবে সরকারি পরিষেবা ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে দুদক বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, টেকসই উন্নয়নের প্রতিটি লক্ষ্য তরুণ প্রজন্মকে ঘিরে। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, আইনের শাসন, মানসম্মত শিক্ষা; সবই তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অপরিহার্য।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল দুদক চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান, দুদকের ৩০ শতাংশ মামলায় খালাস পাওয়ার কারণ কী দুর্বল তদন্ত নাকি দুর্বল প্রসিকিউশন অথবা অন্য কিছু। জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আপনাদের ধারণা হয়তো সবই সত্য। তবে বর্তমানে দুদক তদন্ত এবং প্রসিকিউশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যাপক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছে। দুদকের মামলায় সাজার হার এক সময় মাত্র ২২ শতাংশে নেমে এসেছিল, যা বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দুদকে ২ শতাধিক মানিলন্ডারিং মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার ১৬টির রায় হয়েছে বিচারিক আদালতে। প্রতিটি মামলায় আসামিদের সাজা হয়েছে।
Discussion about this post