সাঈদ চৌধুরী:
চাপ নিতে সক্ষম আপনি ? একটি সংসারের যে ঝামেলাগুলো হয় তাতে দেখা যায় পারিবারিক সমস্যাগুলো বেশী চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় । একটি পরিবারের কোন ছেলে চাকুরী পাচ্ছেনা, মেয়েটা এখনও পড়াশোনা করছে, স্ত্রীর হয়ত অনেক বেশী অসুখ যার ঔষধ কেনার টাকায়ও ঘাটতি অনেক তবুওতো বাড়ির কর্তার হাসতে হয় কখনও কখনও । উনি মুখ গোমড়া করে থাকলে সবাইতো ভেঙ্গে পড়বে ! যে ছেলেটি পড়াশোনা শেষ করে বসে আছে তার জন্যও বাবাকে ভাবতে হয়, মেয়েটা কখনও কখনও বাবাকে বলে বাবা আমার জন্য ড্রয়িং খাতা, চকলেট, লিপিস্টিক নিয়ে এসো আর তখন বাবার হাসি মুখে উত্তর দিতে হয় আচ্ছা মা নিয়ে আসবো ।
এদিকে সংসারের হাল ধরা মানুষটির বাড়ি থেকে খবর আসে তার নিজের মাই অসুস্থ্য । চিকিৎসার জন্য টাকা পাঠাতে হবে । যে ধানের ক্ষেত পেটের আহার যোগায় সে ধানের ক্ষেতেও অন্যজনের দখল দারিত্ব নাকি শুরু হয়েছে ! কটা জিনিস নিয়ে ভাবতে পারে তখন এই মানুষটি ?
তার সাথে যদি যোগ হয় ছোট বোনকে বিয়ে দেওয়ার ঝক্কি, বড় ভাইয়ের ঔষধ কেনার টাকা দিয়ে সাহায্য করার মত কর্তব্য তবে এই মানুষটির হাসি মুখ দেখাটা কি খুবই স্বাভাবিক ?
কয়েকদিন আগে বড় ছেলে নাটকটি খুব সাড়া ফেলে । আমরা খুব আগ্রহ নিয়ে দেখে চোখের পানি ঝড়িয়েছি অঝোড়ে । আসলে সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিত বিলাসী জীবনের পেছনে এই কষ্টগুলো যেন এখন খুব সেকেলে কিন্তু যারা এই কষ্টগুলো করে সামাজিক ভারসাম্যটাকে খুঁটি হয়ে ঠিক রেখেছেন তাদের কথা কি আমরা ভাবি ?
বেশিরভাগ মানুষই নিজের প্রতিষ্ঠার ব্যপারে কথা বলতে গিয়ে দোষ দেয় বড় ভাই, বাবা মা অথবা তার অভিভাবককে । আমার খুব কাছের একজন মানুষকে দেখেছি সে সারা জীবন দোষারোপ করতো তার বড় ভাইকে । তার ধারনাই তার বড় ভাই তাকে যেভাবে পড়াশোনা করিয়েছেন তা তার জীবনে প্রতিষ্ঠা আনতে বাঁধ সেধেছে ।
কিন্তু আমি জেনেছি এবং অনুভব করেছি তার বড় ভাইয়ের কষ্ট । যখন একাত্তরের দামামা বাঁজছিলো চারিদিকে এই ছোট ভাইটিকে কাঁধে নিয়ে পথ পাড়ি দিয়েছেন মাইলকে মাইল । তবুও শেষ প্রাপ্তি কিছুই করেনি আমার জন্য !
আজ লেখাটি পরিবার থেকে শুরু করেছিলাম । বলেছিলাম কতটা চাপ নিতে সক্ষম আপনি ? যদি সম্পূর্ণ দেশটাকে একটি পরিবার ধরা হয় তবে তার কর্তা ধরা হবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে । এই মানুষটির কাছে কত চাওয়া আমাদের ! একটি রাস্তা বিকল বলা হচ্ছে সরকার দেখুক, কোথাও কোন গরীব মানুষ বলা হচ্ছে এদের সরকার না দেখলে এরা কোথায় যাবে, বন্যা হচ্ছে ত্রান দিতে হবে, কারও ঘর পুড়েছে সরকারের দায়িত্ব বেড়ে গেল ! সর্বশেষ দিয়ে যদি শুরু করি তবে রোহিঙ্গা সমস্যাটি এমন একটি সমস্যা যা সত্যিই বড় মানবিক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল । মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এখন অনেকটাই শান্ত পর্যায়ে চলে আসছে ।
একটি দেশ হাজারো সমস্যা আর সেই সমস্যার পেছনে সমাধানকারী একজনকে ধরে আমাদের কত কথাই না প্রতিদিন চালাচলি হয় । তবুও তিনি শক্ত হাতে ধরে হাজার কষ্টের পরও হেসে চলেছেন এবং দেশের জন্য মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ।
প্রশ্ন হল এই মানুষটি এত কষ্টের পরও কিভাবে দায়িত্বের হাল ধরে রেখেছেন একবার কি চিন্তা করেছেন কখনও ? একটু সমস্যায় পড়তে না পড়তেই আমরা সহজেই বলে ফেলি ধুর সরকার কিচ্ছু করছেনা কিন্তু এই সহজ কথার বিপরীতে যিনি কাজ করে চলেছেন নিরন্তর তার কথা কি একবার ভাবছি ।উপরে একটি পরিবারের উদাহরন টানতে গিয়ে যে কথাগুলো বলেছি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী তারসবগুলো চিন্তা করেই দেশটাকে তাঁর সাবলিল হাতে পরিচালনা করে যাচ্ছেন অবিরত ।
আজ এই মমতাময়ী মানুষটিরর পৃথিবীতে আসার দিন । অনেক সময়ই অনেক জড়িপ দেখি বিশ্বে নেতৃত্বে শেখ হাসিনা এত তম স্থানে আছেন, অনেক সময়ই শুনি আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী নোবেল পাবেন শান্তির জন্য কিন্তু সব কিছুর পর সবচেয়ে গর্বের ব্যপার হল আমাদের প্রধান মন্ত্রী আমাদের সবার খুব কাছের মানুষ, সবার খোঁজ খবর রাখার মানুষ ।
জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী । দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যান আরও অনেক অনেক দিন এই কামনা রইলো সবার আগে ।
Discussion about this post