চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গুলিবর্ষণের ঘটনার ৩০ বছর পূর্ণ হলেও বিচার শেষ হয়নি। সাত বছরের অচলাবস্থা কাটিয়ে গত বছর বিচারে কিছুটা অগ্রগতি হলেও সাক্ষীর অভাবে সেটি আবারও থমকে দাঁড়িয়েছে।২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে মামলাটির বিচার চলছে। ওই আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ২০১৭ সালের মধ্যে বিচার শেষ করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বিচার শেষ হয়নি। বরং ২০১৭ সালে এসে মামলাটি আবারও গতি হারিয়েছে।
মেজবাহ বলেন, মামলাটি দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। সাক্ষীদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করি। এজন্য বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর সাক্ষ্য এই আদালতে মামলা আসার পর আমরা নিতে পেরেছি। তবে বেশ কয়েকজন হাই প্রোফাইল সাক্ষী আছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী ও তোফায়েল আহমেদ সাক্ষী হিসেবে আছেন। তিন মন্ত্রীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করার চেষ্টা করছি। এরপর আইনমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে কিভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষ্য নেয়া যায় সেটা ঠিক করব। মামলার ১৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিপি মেজবাহ।১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি নগরীর লালদিঘি ময়দানে সমাবেশে যাবার পথে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি চালালে নিহত হন ২৪ জন। আহত হন কমপক্ষে দু’শতাধিক মানুষ।
নিহতরা হলেন, হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম. স্বপন কুমার বিশ্বাস, এথলেবারট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডিকে চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, বিকে দাশ, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, মসর দত্ত, হাশেম মিয়া, মো. কাশেম, পলাশ দত্ত, আব্দুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ, মো. শাহাদাত।এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে প্রয়াত আইনজীবী শহীদুল৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র একবছরে সাক্ষ্যগ্রহণ হয় ১৩ জনের।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। ওই বছরের ২৫ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন দেওয়ানের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এরপর ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারিক আদালত চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আর কোন সাক্ষীকে হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ।এই অবস্থায় ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি মামলাটি বিচারের জন্য আসে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে।
বাংলানিউজ
Discussion about this post