বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে পাঁচ কর্ম-অধিবেশনের মধ্য দিয়ে গতকাল রোববার (২৫ ডিসেম্বর) শেষ হয় এ সম্মেলন। এর আগে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। দুই দিনের আয়োজনে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বিচারকদের নানা দিকে নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনও তিনি অধস্তন আদালতের বিচার প্রশাসন অধিকতর সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে পরিচালনার বিষয়ে যুগপোযোগী, বাস্তব ভিত্তিক ও কার্যকরী সুপারিশ এবং পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে এগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি দক্ষ ও কার্যকর বিচার প্রশাসন প্রতিষ্ঠার।
দ্বিতীয় দিনে মোট পাঁচটি কর্ম-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এগুলোর মধ্য রয়েছে, ‘আইন সহায়তা কার্যক্রমে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা’, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ বাস্তবায়নে সমস্যা ও সমাধান’, ‘আদালত প্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয়’, ‘ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের সমস্যা ও করণীয়’ ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির কার্যকর বাধা ও উত্তরণের উপায়’।
কর্ম-অধিবেশনসমূহে জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ), ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক (যুগ্ম জেলা জজ) এবং সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ ও যুগ্ম জেলা জজ পর্যায়ের ৩০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা।
Discussion about this post