শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধন-২০১৩) সংশোধনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১ জুন) শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানায়, মালিকদের চাহিদার ভিত্তিতেই মূলত শ্রম আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যে কোনো প্রতিষ্ঠানের মুনাফার ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়া ও ট্রেড ইউনিয়ন করার বিষয়টিতে পরিবর্তন আনার বিষয়ে জোর দিয়েছে মালিকপক্ষ।
তবে শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে শুধু মালিকপক্ষই নয় শ্রমিকপক্ষ থেকেও সংশোধনে সম্ভাব্য পরিবর্তনে কী থাকতে পারে তার প্রস্তাবনা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি শ্রমিক ও মালিকপক্ষ কাউকেই।
বৈঠকে শ্রম আইন ফের সংশোধনের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আমিনুল ইসলাম।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, মালিক ও শ্রমিকদের দাবি দাওয়ার দিকে নজর রেখেই পুনরায় শ্রম আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আসন্ন সংশোধনীতে কী ধরনের পরিবর্তন রাখা প্রয়োজন তার দিকে নজর রেখে মালিকপক্ষ ও শ্রমিক পক্ষের উভয়ের কাছেই প্রস্তাবনা চাওয়া হয়েছে। তাদের প্রস্তাবনার দিকে নজর রেখেই ফের শ্রম আইন সংশোধন করা হবে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্তৃপক্ষ শ্রম আইন সংশোধন হবে কিনা এবং সেই সংশোধনে কী ধরনের পরিবর্তন হতে পারে সেই বিষয়ে বৈঠকে বসে। দুপুর প্রায় দেড়টা পর্যন্ত চলে এ বৈঠক।
২০০৬ সালে শ্রম আইন পাস হয় জাতীয় সংসদে। তারপর তাজরীন গার্মেন্টের অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক শ্রমিক নিহতের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৩ সালের জুলাই মাসে শ্রম আইন সংশোধন বিলটি পাস হয় জাতীয় সংশোধনে।
Discussion about this post