শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির মুনাফার লভ্যাংশ না পেয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে বুধবার (২১ অক্টোবর) মামলা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অফিস সহকারী মো. কামরুল হাসান।
মামলার পর ঢাকার প্রথম শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান তাবাচ্ছুম ইসলাম গ্রামীণফোনের উচ্চ পর্যায়ের পাঁচজনের কাছে লিখিত জবাব চেয়ে নোটিস জারি করেছেন। নোটিসে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠি, অংশগ্রহণ তহবিলের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কাজী মোহাম্মদ শাহেদ, সদস্য মো. মাইনুর রহমান ভুইয়া, মো. মঈনুল কাদের ও আহমেদ মনজুরুদ্দোহা।
আগামী ২ নভেম্বর তাদের ব্যক্তিগতভাবে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে অভিযোগের বিষয়ে জবাব এবং প্রয়োজনীয় কাগজ বা দলিল আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
ওয়ার্কার্স পার্টিসিপেশন ফান্ডের (অংশগ্রহণ তহবিল) পাঁচ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে কামরুল হাসান এ নালিশি মামলাটি করেন। তার আইনজীবী আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধিত ২০১৩) ১৩২ ধারায় করা মামলাটি দেওয়ানি প্রকৃতির।’
মামলার বিষয়ে কামরুল বলেন, ‘২০১০ সাল থেকে পাওনা মোট ২১ লাখ ৪৪ হাজার টাকার দাবিতে মামলা করা হয়েছে। বারবার চেয়েও এ টাকা পাচ্ছি না, যে কারণে শেষ পর্যন্ত আদালতের দারস্থ হতে হল।’
২০০৬ সাল থেকে গ্রামীণফোনে কাজ করছেন কামরুল। শ্রম আইন অনুসারে ২০১০ সালে এই প্রতিষ্ঠানে ওয়ার্কার্স পার্টিসিপেশন ফান্ড গঠন করা হয়।
Discussion about this post