সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের সময় ছিল আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ। বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা অবসরে যাওয়ার পর পদত্যাগ করলেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। এখন আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি থাকায় ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি সম্ভব নয় বলে জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
তিনি বলেন, “রায়ের সময় যে কজন বিচারপতি ছিলেন, তারচেয়ে কম বিচারপতির বেঞ্চ হল রিভিউ করা সম্ভব না।”
মাহবুবে আলম বলেন, “নিয়মটা হল যে কয়জন বিচারপতি একটি রায় দিয়ে থাকেন, রিভিউ করতে হলে তত সংখ্যক বিচারপতি লাগে বা তার থেকে একজন বা দুজন বেশি লাগে। অন্যান্য বিচারপতিরা সব মন্তব্য বা রায়ই তারা সংশোধন করতে পারবেন বা পরিবর্তন করতে পারবেন বা বাতিলও করতে পারবেন।”
এস কে সিনহা প্রধান বিচারপতি থাকাকালে যেসব রায় হয়েছে, তার পদত্যাগে সেগুলোর ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “রায় তো উনি একা দেননি। আমি সে কথাই বারবার বলছি, আমাদের বিচার বিভাগে এককভাবে কোনো বিচারপতি বিচার করেন না, বিশেষ করে আপিল বিভাগে।
“বিচার যেগুলো হয়েছে, অন্যান্য বিচারপতিরাও উনার সঙ্গে ছিলেন। সুতরাং যেগুলোর রায় হয়েছে, সেসব রায়ে কোনো প্রভাবই পড়বে না এবং রায়ের কার্যকারিতাও কোনো রকম ক্ষুণ্ন হবে না।”
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, “রায়টা যদি ঘোষিত হয়ে থাকে তাহলে উনার (বিচারপতি সিনহা) পক্ষে অন্য একজন স্বাক্ষর করবেন। যেটা আমাদের সুপ্রিম কোর্টের বিধান। একজন বিচারপতি যদি একটি মামলা শুনে হঠাৎ পদত্যাগ করেন বা মারা যান, এটার রুলসই আছে তার পক্ষে অন্য একজন সই করবেন।”
প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের প্রেক্ষাপটে সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা হিসেবে সাংবাদিকেরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে গতকাল রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
Discussion about this post