নিজস্ব প্রতিবেদক: বি. চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাঁদের খুবই ইতিবাচক বলে মনে হয়েছে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে যুক্তফ্রন্টের নেতারা অত্যন্ত গঠনমূলক ও ইতিবাচক কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগ আশা করছে, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে আসবে। বদরুদ্দোজা চৌধুরী নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু কিছু বিষয়ে যুক্তফ্রন্ট দাবি হিসেবে এনেছে, তা আমরা মেনে নিয়েছি। এখানে সংবিধান সংশোধনের সঙ্গে কিছু দাবি জড়িত। তিনি আরো বলেন, তাঁদের আলোচনা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে, তাঁরা সরকার পরিবর্তন কিংবা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে জোর কোনো দাবি উত্থাপন করেননি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, সংলাপে তারা খুশি ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপে সৌহার্দ্যপূর্ণ, গঠনমূলক, ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সবার বক্তব্য শুনেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁদের দেওয়া দাবির অনেকগুলোই মেনে নিয়েছেন। যেমন, নির্বাচনে সকলের জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তাঁরা বলেছে সংসদ হয় ভেঙে দিতে হবে, না হয় নিষ্ক্রিয় করতে হবে। আমাদের নেত্রী পরিষ্কারভাবে বলেছেন, সংসদের শেষ সেশন হয়ে গেছে, তাই এটি নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে। নির্বাচনের যখন দিনক্ষন ঘোষণা হবে, আমাদের সবাইকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।
নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করার দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেনাবাহিনী নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। সেনাবাহিনী সারা বিশ্বে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যোগ দিয়ে প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের দেশেও সংকটে, দুর্যোগে তাদের অবদান অসামান্য। এই সেনাবাহিনীকে যত্রতত্র ব্যবহার না করাই ভালো। সেনাবাহিনী অবশ্যই নিয়োজিত হবে, তবে তা হলো তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবে।
নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সঠিক হবে না, যুক্তফ্রন্টের এমন দাবির প্রসঙ্গে কাদের বলেন, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে, তা সংসদে পাস হয়নি। এটা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত। রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করেছেন। এখন নির্বাচন কমিশন এই সময়ের মধ্যে কতটা ইভিএম ব্যবহারে ভূমিকা রাখতে পারবে, সেটা একবারে পরিষ্কার নয়। হয়তো সীমিত আকারে ব্যবহারের চিন্তাভাবনা নির্বাচন কমিশনের থাকতে পারে।
Discussion about this post