দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বিনিয়োগকারীদের এক ছাতার নিচে সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করতে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস বিল, ২০১৭’ জাতীয় সংসদে উঠেছে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে নতুন এই আইন করা হচ্ছে।
সংসদের কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী গতকাল সোমবার বিলটি উত্থাপন করেন।
পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ১৫ দিনের সময় দিয়ে বিলটি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। জনগণের জীবনমান দ্রুত উন্নয়নের স্বার্থে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাবিত কোনো প্রকল্প বা উদ্যোগের জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো সুবিধা, প্রণোদনা, লাইসেন্স, অনুমতি, ছাড়পত্র বা পারমিট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে এ আইন পাস করার প্রস্তাব করা হয়।
বিলটি পাস হলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ‘কেন্দ্রীয় ওয়ান স্টপ সার্ভিস কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। ট্রেড লাইসেন্স, জমি রেজিস্ট্রেশন, নামজারি, পরিবেশ ছাড়পত্র, নির্মাণ অনুমোদন, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি-সংযোগ, টেলিফোন-ইন্টারনেট সংযোগ, বিস্ফোরক লাইসেন্স, বয়লার সার্টিফিকেটসহ ২৭টি ক্যাটাগরিতে এসব সেবা দেওয়া হবে। এক জায়গায় বসেই যাতে এসব অনুমোদন পাওয়া যায়, সে সুযোগ থাকবে এ আইনের অধীনে।বিনিয়োগকারীদের কোন সেবা কত দিনের মধ্যে দিতে হবে, তা বিধি দিয়ে নির্ধারণ করা হবে।
বিলের উদ্দেশ্যে বলা হয়, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ ওয়ান স্টপ সার্ভিস দিয়ে আসছে। কিন্তু এ ব্যবস্থা আরও কার্যকর করে তোলা একান্ত প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও জোন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রদানের পদ্ধতিকে বিধিবদ্ধ করা, এ আইনকে প্রচলিত অপরাপর সংশ্লিষ্ট আইনের ওপর প্রাধান্য দেওয়া, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেবা দিতে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সময়বদ্ধ পদ্ধতিতে সেবা প্রদান নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
বীজ বিল উত্থাপন
বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিক্রয়, মাননিয়ন্ত্রণ, আমদানি-রপ্তানি এবং কৃষক পর্যায়ে গুণগত মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহের জন্য গতকাল জাতীয় সংসদে ‘বীজ বিল, ২০১৭’ উত্থাপন করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। পরে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিলটি কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
এছাড়া ‘বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস অর্ডার, ১৯৭২’ রহিত করে নতুন আইন করার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস বিল, ২০১৭’ গতকাল সংসদে উত্থাপন করা হয়। বিলটি উত্থাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
Discussion about this post