বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্তের জীবনের অন্ধকার দিনগুলোর কিছুটা কেটেছে পুনের ইয়েরওয়ারা কারাগারে। পাঁচ বছরের কারাগার-জীবনের ৪২ মাস তিনি কাটিয়েছেন এখানে। আর দশজন সাধারণ কয়েদির মতোই সঞ্জয় ছিলেন এখানে। সেখানে বলিউডের এই তারকা অচিরেই হয়ে ওঠেন সবার নয়নের মণি। বন্ধুর মতোই ছিলেন সবার সঙ্গে। এখনো সেই কয়েদি বন্ধুরা মিস করেন তাঁদের প্রিয় ‘সঞ্জু বাবা’কে। তার সাক্ষী ‘লক্ষ্ণৌ সেন্ট্রাল’ ছবির শিল্পীরা।
ভারতের স্বাধীনতা দিবসে ‘লক্ষ্ণৌ সেন্ট্রাল’ ছবির তারকারা যান পুনের ইয়েরওয়ারা জেলে। ফারহান আখতার ছাড়া ছবির কলাকুশলীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডায়না পেন্টি, রবি কিষান, রণিত রায়, দীপক দাব্রিয়ল, রাজেশ শর্মা, ইনাম-উল-হক ও পরিচালক রঞ্জিত তিওয়ারি। এই দিনটি তাঁরা জেলের কয়েদিদের সঙ্গে বিশেষভাবে উদ্যাপন করেন। আর সেই সূত্রেই ‘লক্ষ্ণৌ সেন্ট্রাল’ ছবির নায়ক ফারহান আখতার ইয়েরওয়ারা জেলের কয়েদিদের মুখোমুখি হন। এই কয়েদিদের মধ্যে অনেকে কারাগারে সঞ্জয়ের সঙ্গী ছিলেন। ফারহানকে দেখে তাঁরা আবেগ চেপে রাখতে পারেনি। ফারহানকে তাঁদের প্রিয় সঞ্জু বাবা সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করে সেই সব কয়েদি। সঞ্জু বাবা এখন কেমন আছেন? তাঁর নতুন কী ছবি আসছে? এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় ফারহানকে।
কয়েদিদের মুখে এসব প্রশ্ন শুনে ফারহান আখতার তো রীতিমতো হতবাক। সঞ্জয়ের প্রতি তাঁদের এমন ভালোবাসা অবাক করে এই বলিউড তারকাকে। ভায়াকম এইটিন মোশন পিকচারস এবং এম্মে এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত ছবি ‘লক্ষ্ণৌ সেন্ট্রাল’ মুক্তি পাবে ১৫ সেপ্টেম্বর।
ভারতের উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌর এক জেলের সত্য ঘটনার ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ফারহান আখতারের এই ছবিটি। লক্ষ্ণৌ জেলে বাস্তবেই এক ব্যান্ড আছে। এই ব্যান্ড নিয়েই ছবির গল্প। ‘লক্ষ্ণৌ সেন্ট্রাল’ ছবিতে প্রথম ফারহানকে উত্তর প্রদেশের কোনো ব্যক্তির চরিত্রে দেখা যাবে। এই বলিউড তারকা উত্তর প্রদেশের মোর্দাবাদ নামের এক ছোট শহরের তরুণ কিষান মোহন গিরহোত্রার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। কিষানের দুচোখে বড় গায়ক হওয়ার স্বপ্ন। মোর্দাবাদের এই তরুণ ভোজপুরি গায়ক মনোজ তিওয়ারিকে নিজের গুরু ভাবে। কিন্তু নিজের স্বপ্ন পূরণের আগেই মিথ্যে খুনের অভিযোগে তাকে যেতে হয় জেলে। জেলের মধ্যেই কিষান তার স্বপ্ন বুকে আঁকড়ে নিয়ে সব প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে। এই কারাগারে অন্য কয়েদিদের নিয়ে সে গড়ে তোলে ব্যান্ড।
Discussion about this post