প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বেঞ্চ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন। তবে সুপ্রিম কোর্টের সার্কুলার, আদেশ ও নির্দেশ অমান্যকারীদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।
প্রথমবারের মতো বেঞ্চ রিডার, বেঞ্চ অফিসার, সহকারী বেঞ্চ অফিসার ও কোর্ট অ্যাসোসিয়েটদের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে এক অভিভাষণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা আদালতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বেঞ্চ কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, দৈনন্দিন কার্যতালিকায় মামলার ক্রম আদালতের নির্দেশ ব্যাতীত পরিবর্তন করবেন না।
আদালতের আদেশ ও রায় নিষ্পত্তির ক্রম অনুসারে অনতিবিলম্বে টাইপ করে বিচারপতিগণের স্বাক্ষর গ্রহণের পর তা সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রেরণ করবেন। আগাম জামিন প্রদান সংক্রান্ত নথি আদালতের স্বাক্ষরের পর কাল বিলম্ব না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠাতে হবে। মোশন মামলার ক্ষেত্রে এফিডেভিট নম্বরের ক্রম ব্যতীত দৈনন্দিন কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করা এবং এসব মামলার নোটিশে উল্লেখিত বেঞ্চ ব্যাতীত অন্য কোন বেঞ্চ কর্তৃক গ্রহণ করা হতে আপনাদের বিরত থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে বেঞ্চ কর্মকর্তারা আবাসন ও পরিবহন সমস্যা এবং আসবাবপত্র ও কম্পিউটার সামগ্রীর অপ্রতুলতার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহেণর জন্য প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেন।
প্রধান বিচারপতি তাদেরকে বলেন, আবাসন ও পরিবহন সমস্যা সমাধানে ইতমধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এজলাশ সমস্যা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসের স্থানাভাব দূর করতে এ্যানেক্স্র-২ ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যায় অবিলম্বে এ দুটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার বেগম হোসনে আরা আক্তারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেনসহ উদ্ধতন কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের প্রবেশাধিকার ছিলো না। পরে রাতে দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত সুপ্রিম কোর্টের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
Discussion about this post