বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘আমরা আজ কঠিন সময় পার করছি। দেশের প্রতিটি মানুষ আতঙ্কিত ও অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছে। স্বাধীন দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বাধাগ্রস্থ হওয়ার কারণেই সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মাথাছাড়া দিয়েছে। এই সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে এই অবৈধ সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসকে টিকিয়ে রেখে সরকার বিশ্ববাসীর কাছে প্রচার করতে চায় যে দেশে জঙ্গি আছে এবং জঙ্গি দমনে এই সরকারকেই প্রয়োজন। কিন্তু বিদেশীরা তা বুঝে গেছে।’
মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে গুলশান ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণে শোক র্যা লির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যেতিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বার বার কঠোর নিরাপত্তার কথা বলা হলেও বিদ্যমান সকল নিরাপত্তাকে ভেদ করে সন্ত্রাসী উগ্রপন্থীরা একের পর এক তাদের বেপোরোয়া জীবন বিনাশী সহিংস কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এই উগ্রপন্থী অশুভ শক্তি সারা দেশেই তাদের অভয়ারণ্যে গড়ে তুলেছে। মানুষের প্রাণ কেঁড়ে নিয়ে রক্তক্ষরণের দ্বারা তাদের কর্মসূচি চালিয়ে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতাকে তোয়াক্কা করছে না।’
‘সন্ত্রাসীরা একের পর এক অভীনব প্রাণঘাতি হামলা করে সারা দেশটাকেই যেন একটা গোরস্থানে পরিণত করতে চায়। এদেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর চেয়ে এখন অধিক সংখ্যক অস্বাভাবিক মৃত্যুর জানাযায় অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে মানুষকে’ বলেন-শাহাদাত
বিএনপি সরকারের আমলে শেখ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাইদের ফাঁসি দিয়ে জঙ্গি নিমূল করেছে দাবি করে বিএনপির এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যমত গড়ে তুলতে হবে।’
পরে ডা. শাহাদাত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে গুলশান ট্র্যাজেডিতে দেশী-বিদেশী এবং পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও চাকসুর এজিএস মাহবুবুর রহমান শামীম ও বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মিয়া ভোলার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন এম.এ. আজিজ, এস.এম সাইফুল আলম, হারুন জামান, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, শফিকুর রহমান স্বপন, শাহ আলম, সামশুল আলম, ফাতেমা বাদশা, নবাব খান, আবুল হাশেম, জেলি চৌধুরী, ইকবাল চৌধুরী, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, জাহেদুল হাসান ও ইসহাক চৌধুরী আলিম।
এছাড়া কাউন্সিলর মুহাম্মদ তৈয়্যব হাসান মুরাদ, হাজী হানিফ সওদাগর, আলী আব্বাস খান, সৈয়দ শিহাব উদ্দিন আলম, শাহেদ বক্স, কামরুল ইসলাম, আমিন মাহমুদ, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, নুর হোসেন, মাহবুবুল আলম, সায়মা হক, হাজী এমরান, জাকির হোসেন, মুসা আলম, গুলজার হোসেন লেদু, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আখি সুলতানা, জালাল উদ্দিন সোহেল, আজাদ বাঙ্গালি, আরশাদুর রহমান টিপু, আলমগীর নুর ও বশিরুল ইসলাম পলাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post