নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশের বেতারে ভাষণ দেবেন তিনি।
এ জন্য সকাল থেকেই জেলায় জেলায় নির্বাচনী উপকরণ পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতিটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিজি প্রেস থেকে তা সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। নির্বাচনী এসব উপকরণের মধ্যে রয়েছে- মননয়নপত্র, জামানত বই, রশিদ বই, আচরণ বিধিমালা, প্রতীকের পোস্টারসহ বিভিন্ন রকম ফরম।
নিয়ম অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর কোনো প্রার্থী চাইলে তাকে মনোনয়নপত্র দিতে হবে। আর এ জন্যই নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ করতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তাই সকালেই মাঠ পর্যায়ে মনোনয়নপত্রসহ অন্যান্য উপকরণ পাঠানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইসির সহকারী সচিব সৈয়দ গোলাম রাশেদ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বিজি প্রেস থেকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়নপত্রসহ নির্বাচনী উপকরণ পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশের বেতারের কর্মকর্তা ও কারিগরি বিভাগের ব্যক্তিরা সকাল ১০টায় ইসিতে হাজির হন।
জানা গেছে, কমিশন বৈঠকে শেষে সিইসি রুমে তফসিলের বক্তব্য রেকর্ড করা হবে।
এ বিষয়ে ইসির যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এ সভায় সিইসির সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত রয়েছেন। পরবর্তীতে সিইসির কক্ষে ভাষণ রেকর্ড করা হবে।’
সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এবার ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। এ ছাড়া চাইলে অনিবন্ধিত দলের প্রার্থীরা জোটবদ্ধ হয়ে নিবন্ধিত দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থিতায় ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দেয়ার বিধান আগের মতোই বলবৎ আছে।
Discussion about this post