জিম্মি সঙ্কটের ঘটনায় গুলশান একেবারে নীরব, নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। সবগুলো প্রবেশদ্বারেই বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। বাড়তি নিরাপত্তা জোরদারে গাড়ি চলাচলও সীমিত করা হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে বলে জানা গেছে।
শনিবার (০২ জুলাই) দিবাগত ১১টা থেকে পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা কূটনৈতিক পাড়া খ্যাত এলাকাটি ঘুরে দেখা গেছে চারিদিকে সুনশান নীরবতা। কোথাও কোনো জনমানব নেই। কেবল মিডিয়া আর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িগুলো চলাচল করছে। বাড়িগুলোর জানালায় তেমন আলোর ঝলকানিও চোখে পড়েনি।
রাস্তার নিয়ন বাতির আলোয় পুরো এলাকায় যেন থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। শুক্রবার রাতের ঝড়ের পর আতঙ্ক এখনও কাটিয়ে ওঠেনি গুলশান তা একেবারে স্পষ্ট।
তবে এলাকাটির ভেতর দিয়ে যাওয়া বড় সড়কে সীমিত আকারে গাড়ি চলাচল রয়েছে। এগুলোকেও ব্যাপক তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে। নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ হাফিজুর বাংলানিউজকে জানান, গুলশানের সবগুলো প্রবেশদ্বারেই নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। রাতদিন মোট ১৬টি চেক পোস্টে কাজ করছেন পুলিশ সদস্যরা।
এক্ষেত্রে রাত ১২ টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সকল ধরণের ভারী যান চলাচলে একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য গাড়িকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে ব্যাপক তল্লাশির পর। বিশেষ করে মটর সাইকেল, প্রাইভেট কার ও সিএনজি চালিত অটোরিকশাকেই বেশি তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে। সন্দেহজনক ব্যক্তিদের দেহ তল্লাশিও করা হচ্ছে।
এ অবস্থা অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত চলবে বলে জানান এএসআই হাফিজুর।
শুক্রবার (১ জুলাই) রাতে গুলশান-২ এর ৭৯ রোডের হলি আর্টিজান বেকারি হোটেলে জিম্মি সঙ্কট তৈরি করে একদল সন্ত্রাসী। এ সময় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে তারা। যাদের মধ্যে ৯জন ইতালীয় ও ৭ জন জাপানের নাগরিক। এছাড়া হত্যা করে দু’জন পুলিশ কর্মকর্তাকেও। রাতভর নানা কৌশলের পর শনিবার সকালে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ সময় ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
Discussion about this post