চলতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনী (জেএসসি) পরীক্ষা চলাকালীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রশ্ন ফাঁস রোধ করতেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। একইসঙ্গে কোচিং সেন্টারগুলোয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকবে।
চূড়ান্ত সূচি অনুযায়ী আগামী ১ নভেম্বর থেকে অষ্টম শ্রেণি এবং ২০ নভেম্বর থেকে পিইসি ও এবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা শুরু হবে। শিক্ষানীতি অনুযায়ী, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করা হয়। যে কারণে এবার প্রথমবারের মতো জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজন করছে।
এ ব্যাপারে পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রাথমিক ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁসের গুজব ছড়ানো বন্ধে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষা চলাকালীন ফেসবুক বন্ধ রাখা হবে। এজন্য ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) কর্মরত সার্ভার প্রোভাইডারকে সতর্ক থাকতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও বিটিআরসি থেকে বলা হয়েছে তারা এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশনা পাননি। বিটিআরসি এর সচিব মো. সরওয়ার আলম বলেন, ‘মন্ত্রণালয় যদি এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে তো অনেক বড় একটি সিদ্ধান্ত। তবে এখনও এ ব্যাপারে কোনও চিঠি আমার হাতে আসেনি। খোঁজ নিয়ে দেখবো।’
মন্ত্রণালয়ের সূত্র আরও জানায়, কোচিং সেন্টারগুলো কঠোর নজরদারিতে রাখা হবে। ফটোকপির দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশের ডিআইজি ও এসবিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মাহববুর রহমান বলেন, ‘পরীক্ষার সব প্রস্তুতির কাজ এগিয়ে চলছে। মন্ত্রণালয় থেকে যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সে অনুযায়ী কাজ হবে।’
Discussion about this post