বিডি ল নিউজঃ কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কুলাউড়া-আমতলা বাজার ভায়া কবিরাজী রাস্তার পাশে একটি মেহগনী গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে চলছে মালিকানার টানাটানি।
জানা যায়, গত ২৯ ডিসেম্বর কবিরাজি গ্রামের মো: মানিক মিয়া রাস্তার পাশের গাছটি গাছটিন কর্তন করেন। পরের দিনন ৩০ ডিসেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুলাউড়া মুরইছড়া ভিটের রেঞ্জার রাত ১০ টার দিকে কর্তন করা গাছটি জব্দ করে স্থানিয় ইউপি সদস্য আনু মিয়ার জিম্মায় দিয়ে যান। আনু মিয়া গাছটি ঐ রাতেই ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। পরদিন মানিক মিয়া চেয়ারম্যানকে অবিহ্নিত করলে চেয়ারম্যান বিষয়টি মিমাংশার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
২৩ দিন পর গত ২২ জানুয়ারি ইউ.পি সদস্য মো: আনু মিয়া মুরইছরা রেঞ্জার চন্দন ভৌমী’র কাছে গাছটি হস্থান্তর কওে দেন। জানা যায় আজ থেকে প্রায় ১২ বছর আগে জমির মালিক মো: মাশুক মিয়া ছিলেন এবং তিনি গাছটি লাগিয়ে ছিলেন। বর্তমানে রাস্থার পাশের ঐ জমির মালিক তিনি না হলেও পরোক্ষ ভাবে গাছটি নিজের বলে দাবি করেন।
এ ব্যাপারে মানিক মিয়া বলেন, গাছটি আমি আমার ভাতিজি সালমা বেগমের কাছ থেকে ক্রয় করেছিলাম। গাছটি গোপনে কে বা কাহারা জব্দ করেছে এবং আমি গাছ কাটার সময় কেউ আপত্তি করেনি।
অন্যদিকে মাশুক মিয়া বলেন, গাছটি আমি লাগিয়েছিলাম এবং আমি গাছটি আমাদের মসজিদে দান করেছি। কিন্তু মানিক মিয়ার আপত্তির কারনে এর কোন সমাধান হচ্ছে না।
ইউ.পি সদস্য মো: আনু মিয়া জানান, সরকারি রাস্থার উপর থেকে গাছ কাটায় গোপন সংবাদেও ভিত্তিতে রেঞ্জার এসে গাছটি জব্দ কওে আমার জিম্মায় দিয়েছিল। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধান না হওয়ায় এবং আইনি পক্রিয়ায় সমাধান হওয়ার জন্য আমি আবার রেঞ্জারের কাছে হস্তান্তর করে দিয়েছি।
ইউ.পি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল জানান, গাছটি অবৈধ ভাবে কর্তন করায় ও মাশুক মিয়ার আপত্তিতে রেঞ্জার এসে গাছ জব্দ করে নিয়ে গেছে।
Discussion about this post