বিডিলনিউজঃ
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ই ছিল গতকালের ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’; সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংক, অফিস-আদালতে প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল এটি। এসব অফিসের বেশিরভাগ কর্মকর্তাই দাফতরিক কাজ ফেলে ব্যস্ত ছিলেন টিভির লাইভ প্রোগ্রাম দেখতে। যাদের রুমে টিভি নেই তারা অন্য রুমে গিয়ে খবর নিয়েছেন বাইরে কী ঘটছে। অনেকে নিজ কম্পিউটারে অনলাইন নিউজ পেপার বা মোবাইল ফোনে সর্বশেষ খবর দেখেছেন। মোট কথা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশই দাফতরিক কাজের চেয়ে ব্যস্ত ছিলেন ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ নিয়ে। গতকাল প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ নিয়ে টানটান উত্তেজনা ছিল সারাদেশে। বিরোধীদলীয় নেতার ডাকা এ কর্মসূচিতে সরকারের অনুমতি না থাকা এবং যে কোনো মূল্যে কর্মসূচি সফল করার ঘোষণা এ উত্তেজনাকে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। এর প্রভাবের কোনো কমতি ছিল না প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে। সকাল সাড়ে ১০টায় সচিবালয়ের চার নম্বর ভবনের এক যুগ্ম সচিবের রুমে ঢুকে দেখা গেল তার দফতরে চার-পাঁচজনকে সঙ্গে নিয়ে টিভিতে বেসরকারি একটি চ্যানেলে লাইভ প্রোগ্রাম দেখছেন। ফাঁকে ফাঁকে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়, বাসভবন ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সর্বশেষ অবস্থা দেখানো হচ্ছিল। এসব দেখে অনেকে নানা ধরনের মন্তব্যও করছিলেন। বেলা আড়াইটায় ছয় নম্বর ভবনের এক সচিবের পিএসের রুমে ঢুকে দেখা গেল তিনিসহ ছয়জন লাইভ প্রোগ্রাম দেখছেন টিভিতে। দুজন এসেছেন পাসের রুম থেকে। তারাও ক্যাডার কর্মকর্তা। তবে তাদের রুমে টিভি বা কম্পিউটার নেই। বাকিরা ওই দফতরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। এ চিত্র ছিল পুরো সচিবালয়ের প্রায় দফতরের। প্রায় দফতরে ঢুকে দেখা গেছে সবাই টিভির সংবাদ নিয়ে ব্যস্ত। অনেকে প্রতিবেদকের কাছে চানতে চান আসলে দেশ কোন দিকে যাচ্ছে? এ ভাবে দেশ চলবে কী করে? এর শেষ কোথায়?
Discussion about this post