দেশে এখন উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পাবলিক পরীক্ষা চলতেছে। আসুন জেনে নেই সরকারী পরীক্ষায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনের বিধান কি ?
অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেবার শাস্তিঃ
যদি কোন ব্যক্তি সরকারী কোন পরীক্ষায় অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে পরীক্ষার হলে যায় তাহলে সে ব্যক্তি সরকারী পরীক্ষা (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এর ৩ ধারার বিধান মতে পাঁচ বত্সর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন যা এক বৎসরের কম হবে না।
প্রশ্নপত্র ফাঁস ও বিতরণ করার শাস্তিঃ
যদি কোন ব্যক্তি –
ক) উক্ত পরীক্ষার জন্য সন্নিবেশিত প্রশ্নযুক্ত যেকোনো প্রকার কাগজ বা
খ) এইরুপ পরীক্ষার প্রশ্ন আছে বলে মিথ্যাভাবে বুঝাবার অথবা পরীক্ষার প্রশ্নের সাথে হুবুহু মিল আছে বলে বিবেচনা করার মত কোন প্রশ্নযুক্ত কাগজ যেকোন প্রকারে প্রকাশ করেন বা বিলি করেন,
তাহলে তিনি উক্ত আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী ১০ বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন যা তিন বৎসরের কম হবে না এবং সাথে অর্থদণ্ডে ও দণ্ডিত হবেন।
পরীক্ষার্থীদের সাহায্য করার শাস্তিঃ
যদি কোন ব্যক্তি কোন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলে-
ক) লিখিত কোনো উত্তর বা কোনো বই বা বইয়ের কোনো পৃষ্ঠা বা এর উদ্ধৃতাংশ অথবা লিখিত কাগজ সরবরাহের দ্বারা; অথবা
খ) মৌখিকভাবে বা যান্ত্রিক উপায়ে উত্তর বলার দ্বারা; অথবা
গ) অন্য যেকোনো উপায়ে সাহায্য করেন,
তাহলে এই আইনের ৯ ধারার বিধান অনুযায়ী তিনি পাঁচ বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন যা দুই বৎসরের কম হবে না এবং সাথে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।
পরীক্ষার হলে বিঘ্ন সৃষ্টি করার শাস্তিঃ
যদি কোন ব্যক্তি উদ্দেশ্যমুলকভাবে যেকোন উপায়ে-
ক) সরকারী পরীক্ষায় কর্মরত কোনো ব্যক্তির কাজে বাধা প্রদান করেন; অথবা
খ) সরকারী পরীক্ষা গ্রহণে বাধা প্রদান করেন; অথবা
গ) পরীক্ষা হলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেন,
তাহলে এই আইনের ১১ ধারার বিধান অনুযায়ী তিনি এক বৎসর মেয়াদ পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
দেশে সকল পরীক্ষা শান্তিপুর্নভাবে অনুষ্টিত হউক এবং সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য আইন ও অধিকার পরিবারের পক্ষ থেকে শুভ কামনা রইল।
Discussion about this post