বিডি ল নিউজঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকারের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আমাদের আন্দোলন চলছে, আগামীতে আরো বেগবান হবে। আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ। তবে এতে সরকার ও তার গোন্ডা বাহিনী ব্যবহার করে বাধা দিলে পরিণতি ভালো হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনে যদি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের গুন্ডাদের দিয়ে হামলা করা হয়- তা সহ্য করা হবে না। আমরা অনেক মার খেয়েছি, অনেক সহ্য করেছি, রক্ত দিয়েছি, জীবন দিয়েছি। আর দেব না, আর সহ্য করব না। তারা যে ভাষায় কথা বলবে- সে ভাষায় জবাব দেয়া হবে।
শনিবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের ১৪ জেলার নবনির্বাচিত স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। রাত পৌনে ৯টার দিকে এ মতবিনিময় শুরু হয়।
খালেদা জিয়া বলেন, আমরা দেশের মানুষকে ভালোবাসি। মানুষের কথা চিন্তা করি বলেই আমাদের আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম শান্তিপূর্ণ। দেশের মানুষকে বাঁচাতে আগামী দিনের আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে শামিল হবার আহ্বান জানান তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, এখন শিক্ষা ব্যবস্থা কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে তা পত্রিকার পাতা উল্টালেই দেখা যায়। এরা (আওয়ামী লীগ সরকার) পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
শিক্ষাখাতের মতো স্বাস্থ্য খাতও আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আগের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ খাত থেকে অর্থ লুটে নিয়েছেন। তার দুর্নীতির কথা পত্রপত্রিকায়ও উঠে এসেছে।
খালেদা জিয়া বলেন, মানুষ দুই বেলা কম খেলেও শান্তিতে ঘুমাতে চায়। নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব দেয়া হয়নি অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, অনির্বাচিত এমপিরা তাদের কাজ করতে দিচ্ছে না।
সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, এখন এজেন্সিদের দিয়ে রাজনৈতিক দল ভাঙার চেষ্টা করা হয়। অতীতে কখনও আমরা এমন দেখেনি। এজেন্সির লোকদের উদ্দেশে বলতে চাই, এসব কাজ বন্ধ করুন। যার যা কাজ করুন। না হলে ভবিষ্যতে পার পাবেন না। মনে রাখবেন, আওয়ামী লীগই শেষ সরকার নয়। আওয়ামী লীগ বিদায় নেবে। তখন আপনারা বলবেন, অমুক হুকুম করেছে তাই আমরা এসব করেছি। কিন্তু তা হবে না। সবার বিচার হবে কেউ পার পাবে না।
মতবিনিময় সভায় বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান এম মোর্শেদ খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।
চেয়ারপারসনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন- বিএনপি সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান নবীনগরের ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম, আখাউড়ার ইঞ্জিনিয়ার মোসলেহউদ্দিন, আশুগঞ্জের আবু আসিফ আহমেদ, সরাইলের এডভোকেট আবদুর রহমান, হোমনার এডভোকেট মো. আজিজুর রহমান, তিতাসের সালাউদ্দিন সরকার, বুড়িচংয়ের এটিএম মিজানুর রহমান, বরুড়ার মো. আবদুল খালেক চৌধুরী, মনোহরগঞ্জের মো. ইলিয়াস পাটোয়ারী, চাঁদপুর সদরের দেওয়ান মো. শফিকুজ্জামান, শাহরাস্তির দেলওয়ার হোসেন সিরাজীসহ ৩০ জন।
মতবিনিময় সভায় পৌরসভার মেয়রদের মধ্যে অংশ নেন- সোনাগাজীর মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, ছাগলনাইয়ার আলমগীর হোসেন, রাঙামাটি সদরের সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, বাঘাইছড়ির আলমগীর কবির, রাউজানের কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান, চকরিয়ার নুরুল ইসলাম হায়দার, চান্দিনার আলমগীর কবিরসহ ২৮ জন।
এছাড়া, মতবিনিময়ে অংশ নিয়েছেন ২৬ জন পুরুষ ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান।
Discussion about this post