বার কাউন্সিল নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফলে সরকার সমর্থক আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সাদা প্যানেল ১৪টি পদের মধ্যে ১১টি পদে জয়ী হয়েছে। আর বিরোধী জোট সমর্থক জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের নীল প্যানেল পেয়েছে ৩টি পদ।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে আনুষ্ঠানিক এ ফলাফল ঘোষণা করেন বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বার কাউন্সিল ভবনে ভোটের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়।
গত ২৬ আগস্ট বার কাউন্সিলের নির্বাচনে সারাদেশের ৭৭টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ করা হয়। সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে স্থাপিত ভোটকেন্দ্র, দেশের জেলা সদরের সব দেওয়ানি আদালত প্রাঙ্গণে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনের পর বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, সাদা প্যানেল ১০টিতে, নীল প্যানেল ৪টিতে এগিয়ে ছিল।
আনুষ্ঠানিক ফলাফলে সাধারণ আসনে বিজয়ী সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের পাঁচজন হলেন- অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। গ্রুপ আসনে তাদের বিজয়ী ছয়জন হচ্ছেন- এ গ্রুপে কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, বি গ্রুপে এইচ আর জাহিদ আনোয়ার, সি গ্রুপে ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, ই গ্রুপে পারভেজ আলম খান, এফ গ্রুপে মো. ইয়াহিয়া ও জি গ্রুপে মো. রেজাউল করিম।
সাধারণ আসনে বিজয়ী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের দুইজন হলেন- অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। গ্রুপ আসনে তাদের বিজয়ী একমাত্র প্রার্থী হচ্ছেন ডি গ্রুপে অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু।
প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর বার কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বার কাউন্সিল ১৫ জন সদস্যের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
আর বাকি ১৪ জন আইনজীবী সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। নির্বাচিত ১৪ জনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
Discussion about this post