সাংবাদিক পেটানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের (সিএমএম) ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা রানি চক্রবর্তী আসামি গোলাম মাওলা রনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২০ অক্টোবর দিন ধার্য্য করেন।
এদিন রনির অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট কবির হোসাইন। অপরদিকে চার্জ গঠনের জন্য রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাছলিমা ইয়াসমিন দিপা।
শুনানি শেষে বিচারক অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠন করেন এবং আগামী ২০ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
২০১৪ সালের ২৬ জুন আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এ সাংসদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানার এসআই আবু জাফর মামলাটিতে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর তোপখানা রোডের মেহেরব প্লাজায় সাংসদ গোলাম মাওলা রনির অফিসে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ইমতিয়াজ সনি ও ক্যামেরাম্যান মহসিন মুকুলকে মারধর করে আটকে রাখেন।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় এমপি রনির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউনুস আলী।
ওই মামলায় ২০১৩ সালের ২১ জুলাই রনি ঢাকা সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু ওই বছর ২৪ জুলাই সিএমএম আদালত তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। জামিন অবৈধভাবে বাতিল করা হয়েছে উল্লেখ করে রিভিশন মামলা দায়ের করেন রনি। আদালত জামিন বাতিলের পর ওই বছর ২৪ জুলাই গ্রেপ্তার হন রনি। পরে ওই বছর ২৫ জুলাই তাকে আদালতে হাজির করা হলে তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। পরবর্তীতে ওই বছর ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করলে তিনি কারামুক্ত হন।
আরও উল্লেখ্য, একই ঘটনায় আসামি রনিও পাল্টা অভিযোগে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অন্যতম মালিক ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ আদালতে সালমান এফ রহমানের অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। যা সিএমএম আদালত মঞ্জুর করলে অব্যাহতি পান সালমান এফ রহমান।
Discussion about this post