এর আগে সংবাদ সংগ্রহের সময় বুধবার সকালে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের রিপোর্টার জিএম মোস্তাফিজুল আলম ও সিনিয়র ক্যামেরা পারসন রিপু আহমদকে মারধর করেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এনআইডি শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এনআইডি প্রকল্পের উপ-পরিচালক আব্দুল বারী এ হামলায় নেতৃত্ব দেন বলে ঘটনার শিকার সাংবাদিকরা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মোস্তাফিজুল আলম বলেন, বেলা ১১টার দিকে এনআইডি শাখার নিচতলায় ছবি নেওয়ার সময় ক্ষিপ্ত কর্মচারীরা রিপু আহমেদকে ধরে ভবনের সাত তলায় নিয়ে যান। পেছন পেছন আমি ছুটে গেলে তারা আমাদের ঘিরে ধরে।
পরে প্রতিবাদ করায় দু’জনকেই এনআইডিইএ প্রকল্পের উপ-পরিচালক আব্দুল বারীর কক্ষে নিয়ে যান লাঞ্ছনাকারীরা।
‘এ সময় বারী আমাকে আটকে রেখে পুলিশে দেওয়ার হুকুম দেন। তার নির্দেশেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আমাদের মারধর করেন ও ক্যামেরা কেড়ে নেন।’
মোস্তাফিজুল আলম জানান, এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ এনআইডি শাখায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি ঘটনাস্থলে এসে ক্যামেরা ফেরত দিতে বলায় তারা ভাঙা ক্যামেরা ফেরত দেন। কিন্তু মেমোরি কার্ড দেননি।
ঘটনাটিকে খুব দুঃখজনক উল্লেখ করে সুলতানুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যম আমাদের একটা পার্ট। এই ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার প্রতিবাদে কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশনে সংবাদ সংগ্রহকারী রিপোর্টারদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)।
Discussion about this post