সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যায় অভিযুক্ত শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মিরুকে রাজধানী ঢাকার শ্যামলী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে শ্যামলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিরাজগঞ্জ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘রাজধানীর শ্যামলী এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ গ্রেফতার করেছে মিরুকে।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ পুলিশের অনুরোধে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (দক্ষিণ) শাখার একটি দল রাজধানীর শ্যামলী থেকে তাকে (মিরুকে) কিছুক্ষণ আগে গ্রেফতার করেছে।’ মিরুকে সিরাজগঞ্জ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, ‘মেয়র মিরু তার এক সহযোগীসহ মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এসময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। মিরুকে সিরাজগঞ্জ পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর শটগানের গুলিতে শিমুল আহত হন। শাহজাদপুরের দিলরুবা বাস টার্মিনাল থেকে উপজেলা সদর পর্যন্ত রাস্তার কাজ নিয়ে কালীবাড়ি এলাকায় শাহজাদপুর পৌর মেয়র মিরুর ছোট ভাই হাসিবুল ইসলাম পিন্টু পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভিপি রহিমের শ্যালক ছাত্রনেতা বিজয়কে বেধড়ক মারধর করে। এতে তার হাত-পা ভেঙে যায়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দলের কর্মী-সমর্থক ও বিজয়ের মহল্লা কান্দাপাড়ার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে দিলরুবা বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এক পর্যায়ে অবরোধকারীদের একটি অংশ মনিরামপুর এলাকায় অবস্থিত পৌর মেয়রের বাড়ি ঘিরে ইট-পাটকেল মারতে থাকে। এসময় মেয়র তার নিজের শটগান দিয়ে গুলি করলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিমুলের মাথায় ও মুখে গুলি লাগে। আহত অবস্থায় তাকে বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শুক্রবার ঢাকায় নেওয়ার পথে দুপুরে মারা যান তিনি।
বাংলা ট্রিবিউন
Discussion about this post