এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যাকারী গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাপার সাবেক এমপি কর্নেল (অব.) ডা. আব্দুল কাদের খানের ফের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে গাইবান্ধা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ময়নুল হাসান ইউসুব তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বগুড়া জেলা শহরে কাদের খানের স্ত্রীর মালিকানাধীন গরীব শাহ ক্লিনিক থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর রাতেই তাকে পুলিশভ্যানে করে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনা হয়। এরপর পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পরে রিমান্ড চলাকালীন চতুর্থ দিনে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেন। তবে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি অস্ত্রের মধ্যে একটি অস্ত্র উদ্ধার না হওয়ায় ৭ মার্চ আবারও একদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) রবিউল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি অস্ত্রের মধ্যে একটি অস্ত্রের সন্ধান না দেওয়ায় আব্দুল কাদের খাঁনের তৃতীয় দফায় ফের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খাঁন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি। তিনি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি (খাঁনপাড়া) গ্রামের মৃত নয়ান খাঁনের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে বগুড়া জেলা শহরের গরীব শাহ ক্লিনিকের চারতলা ভবনের ওপর তলায় বসবাস করতেন।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টাপাড়া) এলাকায় নিজ বাড়িতে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন।
Discussion about this post