মোঃ ফয়জুল হাসান:
সাকসেশন সার্টিফিকেট হচ্ছে মৃত ব্যাক্তির ব্যাংকে জমানো টাকা, কোম্পানীর শেয়ার, ডিবেঞ্চার, রয়্যালটির সর্বোপরি মৃত ব্যাক্তির সম্পত্তির বৈধ উত্তরাধিকার প্রমান করার প্রমাণপত্র। সাকসেশন অ্যাক্ট ১৯২৫ এর ধারা ৩৭০-৩৮৯ এ সাকসেশন সার্টিফিকেট এর ব্যপারে বলা আছে। আইনে সাকসেশন সার্টিফিকেট গ্রহনের জন্য আবেদনের কোন সময়সীমা নির্দিষ্ট করা নেই।
সাকসেশন সার্টিফিকেট পাবার জন্য জেলা জজ এর আদালতে যথাযথ কাগজপত্র সহ আবেদন করতে হয়। এ আবেদনে অবশ্যই মৃত ব্যাক্তির মৃত্যুর সময়, বাসস্থান, সব বৈধ উত্তরাধিকার, ঋণ এবং সম্পত্তি যে জন্য সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছে তার সস্পূর্ণ বিবরণ থাকতে হবে।
সাকসেশন সার্টিফিকেট এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
- মৃত ব্যাক্তির মৃত্যুর সনদপত্র ( ডেথ সার্টিফিকেট),
- ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কমিশনার প্রদত্ত পরিচয়পত্র বা নাগরিকতব সনদ,
- শেয়ার সার্টিফিকেট, রয়্যালটির প্রমাণপত্র বা ব্যাংক টাকা জমার স্লিপ ইততাদি।
যদি উত্তরাধিকারদের মধ্যে কেউ নাবালক থাকে তবে একই আদালত থেকে আবেদনের মধ্যমে তার আইনানুগ অভিভাবক নির্ধারণ করা যায়।
জেলা জজের নিকট আবেদন করার পর যদি আদালত সন্তুষ্ট হয়ে আবেদন গ্রহন করেন তবে, আদালত নিজে তা নিষ্পত্তি করতে পারেন অথবা অধিনস্থ সাব-জজ, সহকারী জজ অথবা অন্য কোন জজের নিকট আবেদনটি নিস্পত্তির জন্য প্রেরন করতে পারেন। আদালত মৃত ব্যাক্তির নিকট আত্মীয়দের নোটিস প্রদান করে কারো কোন দাবি কিংবা কোন আপত্তি আছে কিনা তা জেনে নিয়ে থাকেন। আদালত ইচছা করলে এই নোটিশের পাশাপাশি পত্রিকাতেও বিজ্ঞপ্তি দিতে পারেন। কারো কোন আপত্তি থাকলে এই সময়ের মধ্যে দাখিল করা যায়। জার সময়সীমা সাধারণত দেড় মাস। কারো কোন আপত্তি না থাকলে অথবা আপত্তি থাকলে তা শুনানির পর আদলত আবেদনকারীর অনকুলে সাকসেশন সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকে। আবেদনকারীকে আদালতে আইনানুযায়ী স্ট্যাম্প পেপার ও কোর্ট ফি প্রদান করতে হয়। সাধারণত সাকসেশন সার্টিফিকেট পেতে তিন-চার মাস সময় লাগে।
মোঃ ফয়জুল হাসান, ই-মেইলঃ hassan.foyzul@gmail.com
Discussion about this post