• গেইল এ রকম ফর্মে থাকলে বোলাররা বল ফেলার জায়গা পায় না। ব্যাটের সামনে পেলে সোজা ব্যাটে উড়িয়ে দেবে। বাউন্সার দিলে পুল করবে। নারিন বা মর্কেলের এ দিন যে হালটা হল। আইপিএল সিক্সে পুণের বিরুদ্ধে ওর ৬৬ বলে অপরাজিত ১৭৫ এর টর্নেডো দেখেছি বলেই জানি, বোলাররা এ সময় কতটা অসহায়।
• মানসিকতাটাই শনিবার অন্য রকম ছিল গেইলের। ওর অনেক ইনিংস দেখেছি। টি-টোয়েন্টিতে ও সাধারণত দৌড়য় না। চার-ছয় বেশি মারে। এ দিন কিন্তু প্রচুর খুচরো রান নিয়েছে। বিশ্বকাপে একটা বড় ইনিংস ছাড়া কিছু ছিল না। খারাপ সময়টা ও আইপিএলে মুছে ফেলতে যেন মরিয়া ছিল।
• গম্ভীর চারটে স্পিনার নিয়ে একটা ফাটকা খেলেছিল। কিন্তু সেটা কাজ করেনি। নারিন অ্যাকশন পাল্টে ফিরলেও এখনও ছন্দে নেই। পীযূষ চাওলা, সাকিব, কারিয়াপ্পারাও ছাপ ফেলতে ব্যর্থ। বাঁ হাতি গেইলের সামনে লেগব্রেক বা বাঁ হাতি স্পিন কাজে আসেনি।
• গেইল দ্রুতগতির উইকেটে ব্যাট করতে ভালবাসে। এ দিন ইডেনে ঠিক সে রকম উইকেটই ছিল। বল দ্রুত ব্যাটে আসছিল আর বাউন্সও হচ্ছিল। গেইলের মতো ছক্কা মারার স্পেশালিস্টরা বলের নীচে হিট করার টার্গেট নেয়। এ দিন সেটা সহজেই করতে পেরেছে।
• গেইলের মতো ব্যাটসম্যানের হাফ চান্সও কাজে লাগাতে হয়। কিন্তু মর্নি মর্কেল গেইলের ক্যাচ ফেলে দিল। ওখানেই নাইটদের শেষ সুযোগটাও চলে যায়।
সৌজন্যে আনন্দবাজার পত্রিকা
Discussion about this post