দ্রুত বিচার আইনে সাজার মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে আইন সংশোধনের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সংশোধিত আইনের খসড়ায় সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে সর্বনিম্ন ২ বছর ও সর্বোচ্চ ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
আজ সোমবার (৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন- ২০১৭’ এর খসড়ায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে দ্রুত বিচার আইনের ৪(১) ধারা সংশোধন করে শাস্তির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সংশোধিত আইনে সাজার মেয়াদ বাড়ানোর হলো কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন উপলেক্ষে এটা (শাস্তি) বাড়ানো হয়নি, এটা নিয়মিত কাজ।’
আগে ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ’ করলে এ আইনে সর্বনিম্ন দুই বছর এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ডের বিধান ছিল।
চাঁদাবাজি, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতি সাধন, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও সন্ত্রাস সৃষ্টি, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র কেনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধ দ্রুততার সঙ্গে বিচারের জন্য এ আইনটি করা হয়।
আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যাবে।
Discussion about this post