নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নূর হোসেনের অন্যতম সহযোগী জামাল উদ্দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে জামাল আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশে দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী জানান, গত ১৬ জানুয়ারি সাত খুনের ঘটনার পর প্রধান আসামি নূর হোসেনের অন্যতম সহযোগী জামাল উদ্দিন আত্মগোপন করেন। মামলার রায় ঘোষণার পর জামাল উদ্দিন আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সাত খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নূর হোসেনের অন্যতম সহযোগী ওয়াহিদুজ্জামান ওরফে সেলিম স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি র্যাব ১১-এর চাকরিচ্যুত সদস্য আবদুল আলিম স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি আরেক পলাতক আসামি র্যাবের সার্জেন্ট এনামুল কবিরকে পুলিশ মাগুরার শালিখা উপজেলার কাতলি গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে।
এই মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মধ্যে এখনো আটজন পলাতক। এর মধ্যে ছয়জনই র্যাব সদস্য।
গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার রায় দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন। মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ও র্যাবের বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে বাকি নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত ৩৫ আসামির মধ্যে ১০ জন পলাতক। সর্বশেষ মাগুরায় একজনকে গ্রেপ্তার এবং একজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
Discussion about this post