নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আসামি মজনুকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশকে এই অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালত এই অনুমতি দেন।
এর আগে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিতে তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুনানি শেষে আদালত ওই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বুধবার মজনুকে পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে হেফাজতে চেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আদালতে পাঠানো হবে। মজনুর সঙ্গে গ্রেপ্তার অরুণা ও খায়রুলকেও ডিবির কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব।
গত ৫ জানুয়ারি কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী ধর্ষিত হওয়ার পর ব্যাপক ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে অপরাধীকে ধরতে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ধর্ষিতার নিকট থেকে পাওয়া আক্রমণকারীর বর্ণনা ধরে অভিযান চালিয়ে বুধবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর শেওড়া রেল ক্রসিং এলাকা থেকে মজনুকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র্যাব।
ভূক্তভোগীর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অভিযান চালায় র্যাব, যে মোবাইলটি মজনু নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেছিল অরুণার কাছে, আবার অরুণার কাছ থেকে তা কিনেছিলেন রিকশাচালক খায়রুল।
বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরার পর সন্ধ্যায় মজনুসহ তিনজনকে গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর করা হয় বলে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল জানান।
তিনি বলেন, মামলাটি বর্তমানে গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে। তারাই এখন পরবর্তী কার্যক্রম করবেন।
ওই তরুণীর বাবা ঘটনার পরদিনই ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। পরে তা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিবিকে।
গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মশিউর রহমান জানান, বুধবার রাতে তারা মজনুসহ তিনজনকে র্যাবের কাছ থেকে বুঝে পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
Discussion about this post