সাফাই সাক্ষীর কি ভাবে নিতে বা দিতে হয় ?
ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী কোন মামলা অনুসন্ধান বা আদালতে মামলা বিচারকালীন সময়ে অভিযুক্ত
আসামীকে বা মামলার আসামীকে তার নিজ সম্পর্কে সাক্ষ্য অর্থাৎ আত্নপক্ষ সমর্থন করে যে সাক্ষ্য অথবা আসামী বা অভিযুক্তের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি সাক্ষ্য প্রদান করাকে সাফাই সাক্ষী বলা হয়। ফৌজদারী কার্যবিধি- ৩৪২ ধারা। সাফাই সাক্ষীর কার্যক্রম-
০১. আদালত যে কোন সময়ে পূর্ব সর্তকতা ব্যতীত সাফাই সাক্ষী গ্রহণ করিতে পারে।
০২. সাফাই সাক্ষীতে অভিযুক্ত আসামী তাহার বিরুদ্ধে প্রদত্ত সকল প্রকার সাক্ষ্যর ব্যাখ্যা করিতে পারে।
০৩. অভিযুক্ত আসামী কর্তৃক প্রদত্ত সাফাই সাক্ষীতে যদি কোন প্রকার অপরাধের সূত্র পাওয়া যায় তাহলে আদালত তা অনুসন্ধান করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্র্রহণ করিতে পারিবে।
০৪ .সাফাই সাক্ষীতে অভিযুক্ত আসামী কোন তথ্য অস্বীকার বা মিথ্যাচার করিলে তাহার জন্য কোন প্রকার শাস্তি প্রদান করা হয় না
০৫. আদালত সাফাই সাক্ষীতে আসামীকে মামলার সাথে প্রাসঙ্গিক যে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিতে পারিবে।
০৬ সাফাই সাক্ষীতে প্রদত্ত তথ্যদি থেকে সম্মানিত আদালত যে কোন ন্যায় সঙ্গত অনুমান করিতে পারে।
০৭ . সাফাই সাক্ষীতে আসামীকে শপথ গ্রহণ করানো হয় না। (ফৌজদারী কার্যবিধি- ৩৪২ ধারা – ‘আসামীর জবানবন্দি গ্রহন করার ক্ষমতা ‘ এরআলোকে লেখা হয়েছে ।
Discussion about this post