মেহেরপুরের গাংনীতে আবুল খয়ের (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। গতকাল রবিবার রাত ৯টার দিকে আহত হওয়ার পর রাত আড়াইটার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত আবুল খয়ের গাংনী থানাপাড়ার করিম মালিথার ছেলে ও গাংনী পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র বিএনপি নেতা ইনসারুল হক ইন্সুর বড় ভাই। ভাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন আবুল খয়ের।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল রবিবার রাতে গাংনী বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন আবুল খয়ের। তিনি বাড়ির নিকট পৌঁছালে রাত ৯টার দিকে সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালায়। হামলায় মোটরসাইকেল থেকে তিনি পড়ে গেলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে আহত করা হয়। এ সময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে তারা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে মারা যান তিনি।
নিহতের ভাই ইনসারুল হক অভিযোগ করে জানান, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ওলিপাড়ার আকসারের ছেলে রিপন ও ইসলামের ছেলে আকছারের নেতৃত্বে তাদের ক্যাডার বাহিনী তার ভাইয়ের ওপর হামলা করে। তিনি আরো জানান, এর আগে তার মালিকানাধীন ইটের ভাটায় বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করে আসছিল হামলাকারীরা। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় প্রতিনিয়ত তারা প্রাণনাশের হুমকিও দিত। এসব ঘটনার জের ধরে তার ভাইয়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তার ভাই আহত অবস্থায় পুলিশের কাছে হামলাকারীদের পরিচয় জানিয়েছেন বলে ইনসারুল হক জানান।
এ ব্যাপারে গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, “পূর্ববিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
–
Discussion about this post