সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি রায় দেবেন হাইকোর্ট।
বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেন।
গত ০৬ জানুয়ারি থেকে আসামিদের আপিলের ওপর তিন কার্যদিবসে পেপারবুক উপস্থাপন শেষে ১৪ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন।
আসামিপক্ষে শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন এ কে এম ফয়েজ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হয়রত শাহজালালের মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। এ হামলায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন এবং আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
ঘটনার দিন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মুফতি হান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর সম্পূরক অভিযোগপত্র দিয়ে মাঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আবার অভিযোগ গঠন করা হয়।
২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় নথি হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিলও করেন। প্রায় সাত বছর পর গত ০৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।
Discussion about this post