সরকারি তহবিলের ১৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় আটক কিশোরগঞ্জ জেলার সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এলএও) মো. সেতাফুল ইসলামকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলগ্রহণকারী আদালত নং ১ এর বিচারক আ. ছালাম খান এ আদেশ দেন। সকালে পুলিশি প্রহরায় সেতাফুলকে আদালতে আনা হয় ।এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় ময়মনসিংহ অঞ্চলের একটি দল তাকে পিরোজপুর জেলা থেকে আটক করে। পরে ওইদিনই দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ময়মনসিংহ অঞ্চলের সহকারী পরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল বাদী হয়ে সেতাফুলকে একমাত্র আসামি করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সেতাফুলের বিরুদ্ধে জাল দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। কিশোরগঞ্জ থেকে বদলির পর তিনি একই পদে পিরোজপুর জেলায় দায়িত্বরত ছিলেন।
বাদীর দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা যায়,বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য কিশোরগঞ্জে কয়েকশ’ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। এসব ভূমির মালিককে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার সময় জালিয়াতির আশ্রয় নেন কিশোরগঞ্জের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সেতাফুল ইসলাম। জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিল থেকে চেকের মাধ্যমে সেতাফুল ইসলাম ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া ঘটনা জানতে পেরে শেষ মুহূর্তে আত্মসাতের প্রক্রিয়ায় থাকা আরও ৯ কোটি টাকার চেক জব্দ করে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
এই বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দুলাল চন্দ্র সূত্রধর এবং স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক মো. জহিরুল ইসলামকে প্রধান করে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মির্জা তারিক হিকমতকে প্রধান করে আরেকটি এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ভূমি মন্ত্রণালয়।
Discussion about this post