বিডি ল নিউজঃ জোড়া স্বস্তিতে অভিনেতা সালমান খান। মুম্বইয়ে গাড়ি চাপা দিয়ে পালানোর মামলায়, আদালতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেশ করতে হচ্ছে না তাঁকে। পাশাপাশি, রাজস্থানে কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় রায়দান ১০ মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে আদালত।
গাড়ি চাপা দিয়ে পালানোর মামলার সালমান খানের ড্রাইভিং লাইসেন্স আদালতে পেশ করার আবেদন জানিয়েছিলেন সরকারি আইনজীবী। তাঁর দাবি, ২০০২ সালে দুর্ঘটনার সময় সালমানের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। ২০০৪ সালে আন্ধেরি আরটিও থেকে সালমান খানের নামে ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু হয়। উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সলমনের গাড়ি বান্দ্রায় বেকারিতে ধাক্কা মারে। ওই সময় বেকারির বাইরে ঘুমিয়ে থাকা এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।জখম হয় ৪ জন। কিন্তু আদালত সরকারি আইনজীবীর এই আবেদন খারিজ করে দেয়।
অন্যদিকে, কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলাতেও সরকারি আইনজীবীকে ১০ মার্চের মধ্যে বাকি সাক্ষী ও তথ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করতে বলেন বিচারক। গত ২৫ তারিখ রায়দান হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর যোধপুরের বন বিভাগ সলমন খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। সলমনের বিরুদ্ধে এমনও অভিযোগ ছিল, যে বন্দুকটি নিয়ে তিনি শিকারে গেছিলেন, সেটিরও লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছিল। নিম্ন আদালতে সলমন খানের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হলে হাইকোর্ট সেটির ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। পরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হলে, মামলাটিকে দ্বিতীয়বার শুনানির জন্য নিম্ন আদালতে ফেরত পাঠায় সর্বোচ্চ আদালত।
Discussion about this post