সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় এক মসজিদের তহবিলের হিসাব-নিকাশ নিয়ে সালিশের মধ্যে দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে এক নারীর মৃত্যু হয়েছেরায়গঞ্জ থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জয়েনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আয়মনা বেগম (৬০) নামের ওই নারী গ্রামের কুড়ান মণ্ডলের স্ত্রী। তিনি ওই মসজিদের কোষাধ্যক্ষ ওয়ায়েস কুরুনীর মা।
তিনি সংঘর্ষের সময় আঘাত পেয়েছিলেন, না হৃদরোগে মারা গেছেন সে বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত নয়।
শুক্রবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় বলে জানান ওসি।
সংঘর্ষে কোষাধ্যক্ষ ওয়ায়েস, আব্দুল মমিন, আলী হাসান, স্থানীয় খইমুদ্দিনের ছেলে মোন্নাফ আলী, মনোয়ারা খাতুন ও ফাতেমা খাতুন আহত হন। তাদের মধ্যে কয়েকজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, গ্রামের মাতবর হযরত আলী, তার ভাই আবুল কাশেম ও শামছুলসহ বেশ কয়েকজন কোষাধ্যক্ষ ওয়ায়েসের কাছে থাকা মসজিদ তহবিলের সাড়ে নয় হাজার টাকার হিসাব বুঝিয়ে দিতে চাপ দিয়ে আসছিলেন।
“ওয়ায়েস শুক্রবার জুমার নামাজের পরে হিসাব দেওয়ার কথা বললেও হযরত আলী তা না মেনে তখনই হিসাব দিতে বলেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা একে-অপরের উপর হামলা চালায়।”
স্থানীয়রা জানান, দুপক্ষই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মারামারির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। রাতে সালিশের মধ্যে প্রতিপক্ষের লোকেরা ওয়ায়েসকে মারতে গেলে তার মা আয়মনা আটকাতে যান। এরই মধ্যে তিনি সংজ্ঞা হারান এবং ওইভাবেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি বলেন, “লাশটি আমরা তার বাড়িতেই পেয়েছি। শরীরে জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তিনি সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন, না আতঙ্কে মারা গেছেন ময়নাতদন্তের আগে তা বলা যাচ্ছে না”।
Discussion about this post