ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম) ছিল বেশ ব্যস্ততা। এদিন ১৪৯ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে ১০২ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ৪৪ আসামিকে রিমান্ডে নিতে পুলিশের করা আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আর জামিন দিয়েছেন তিনজন আসামিকে।</p> ঢাকার মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের তথ্য মতে, নববর্ষের দিন চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামির সংখ্যা ছিল বেশি। তবে অজ্ঞান পার্টির সদস্য ছিল ১৪ জন। এই ১৪ জনের মধ্যে পল্টন ও মতিঝিল থানার দুই মামলার আসামির সংখ্যাই ১০ জন। আদালত পুলিশের কনস্টেবল মুজিবুর রহমান বলেন, অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।</p> বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছে আসামিদের।গ্রেপ্তার আসামিরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিলেন, তাঁদের পোড়া কোপাল। বছরের শুরুর দিনটাও জেলে কাটাতে হবে। আদালতের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আসামি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তাঁর কপাল খুব খারাপ। কারণ তার পাঁচ বছর বয়সী ছেলের জন্য নতুন জামাকাপড় কিনেছেন। পরিকল্পনা ছিল, পয়লা বৈশাখের দিন রমনা বটমূলে স্ত্রী-ছেলেকে নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন। জাহাঙ্গীর আলমের মতো আরও কয়েকজন আসামি আক্ষেপের সুরে বলেন, তাঁদের আজ ঘুরে বেড়ানোর কথা ছিল, কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো।</p> নববর্ষের দিনে জামিন পাওয়া তিনজনের একজন হলেন হাসিনা বেগম। তাঁর কোলে তিন বছরের ফুটফুটে বাচ্চা। জামিন পাওয়ার খবর পান বিকেল সাড়ে ৪টায়। তখনো তিনি ছিলেন হাজতখানায়। তিনি বলেন, বুধবার লালবাগের একটি দোকানে কেনাকাটা করতে গেলে দোকানির সঙ্গে গন্ডগোল হয়। এই দুই আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। দোকানি প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করায়। জামিন পাওয়ায় খুব খুশি তিনি। তবে রমনায় ছেলে-স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে না পারায় তাঁর মন খুব খারাপ। হাসিনা বললেন, ঢাকাতে বড় হয়েছেন তিনি। পয়লা বৈশাখে প্রতি বছর রমনায় ঘুরতে যান তিনি। কিন্তু এবার হাজতখানায় কাটল নববর্ষের দিন। প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
Discussion about this post