ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমবি) আদলে সিএমপিতেও বিট পুলিশিংয়ের মতো গণবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা দিয়েছেন কমিশনার মো.ইকবাল বাহার।
দায়িত্ব গ্রহণের পর শনিবার (২৩ এপ্রিল) প্রথম মাসিক অপরাধ সভায় সিএমপি কমিশনারের কাছ থেকে এ ঘোষণা এসেছে।
সভায় সিএমপি কমিশনার বলেন, নগরবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। এজন্য সবাইকে আন্তরিকতা এবং ত্যাগের মনোভাব নিয়ে নতুন নতুন পদ্ধতি চালু করে জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে।
সূত্রমতে, সভায় সিএমপি কমিশনার জানান, বিট পুলিশিংয়ের আওতায় সিএমপির ১৬টি থানাকে নির্দিষ্ট ক্রাইম জোনে ভাগ করা হবে। জোনের ভেতরে থানাগুলোকে বিভিন্ন বিটে ভাগ করা হবে। বিভিন্ন এলাকার জনসংখ্যা, অপরাধপ্রবণতা ইত্যাদি বিবেচনায় এনে বিট ভাগ করা হবে।
প্রত্যেক বিটের দায়িত্বে থাকবেন একজন উপ-পরিদর্শক (এস আই)। এর চেয়ে নিচের পদের একজন থাকবেন তার সঙ্গে। সংশ্লিষ্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তদারক এবং ওসি বিট কার্যক্রম সমন্বয় করবেন। জোনের সহকারি কমিশনার (এসি) থাকবেন পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে।
বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা নিজ নিজ এলাকার মাদক, অস্ত্র ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী-অপরাধীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে তাদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করবেন। এলাকায় ইভ টিজিংসহ সামাজিক অপরাধ বন্ধে উদ্যোগ নেবেন। অফিস, কারখানা-আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। নিজ নিজ এলাকার প্রতিটি বস্তি ও মেসের তালিকা তৈরি করে সেখানে অবস্থানরত ভাসমান লোকদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে বি-রোল ইস্যু করাটাও বিট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির-মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিট কর্মকর্তাদের যোগাযোগ রাখতে হবে।
‘আমি পুলিশের সেবাটা একদম মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে চাই। মানুষকে সেবা পাবার জন্য পুলিশের কাছে আসতে হবেনা। পুলিশই যাবে মানুষের কাছে। ’ বলেন সিএমপি কমিশনার।
এছাড়া কর্মকর্তাদের মধ্যে দায়িত্ব পালন ও সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতা সৃষ্টির কথাও বলেছেন সিএমপি কমিশনার। কয়েকটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার চালু করে সহকারি কমিশনার থেকে নিচের পর্যায়ের সদস্যদের পুরস্কৃত করা হবে বলে তিনি মাসিক অপরাধ সভায় ঘোষণা দেন।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মাইনুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য্য, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ-উল-হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) হারুন-উর-রশিদ হাযারী, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) ফারুক আহমেদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) কামরুল আমিন, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-বন্দর) সুজায়েত ইসলাম, উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) সঞ্চয় কুমার কুন্ডু, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি বন্দর-পশ্চিম) মোকতার হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (সিএসবি) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়া, উপ-পুলিশ কমিশনার (এমটি ও সরবরাহ) হাসান মো. শওকত আলী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অতিরিক্ত উপ কমিশনার, সহকারি কমিশনার ও বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post