নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার সমিতির দুই দিনের নির্বাচন শেষে আজকে সারা রাত ভোট গণনা চলবে এবং সেই ভোট গণনায় সামিল হওয়ার জন্যে আজ ২২শে মার্চ ২০১৮ইং তারিখ রাত ১১ঘটিকায় সিনিয়র এডভোকেট জনাব জহিরুল ইসলাম খান পান্না তার কলাবাগানস্থ বাসভবন থেকে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার সমিতি ভবনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
পথিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি,এস,সি, মোড়ে তার গাড়িকে লক্ষ্য করে অজ্ঞাতনামা কিছু আততায়ী একটি বড় কংক্রিট নিক্ষেপ করে। সেই কংক্রিটটি তার গাড়ির কাচ ভেঙে তার শরীরে লাগলে তার বাম হাতের বাহু থেঁতলে যায় এবং বুকের বাম পাশে জখম হয়ে রক্তপাত ঘটে।
অতঃপর এহেন অবস্থায় তার গাড়ির চালক তড়িঘড়ি করে উক্ত স্থান প্রস্থান করে। জনাব পান্নার সাথে গাড়িতে তার একজন জুনিয়র এসোসিয়েট ছিলেন এবং তিনি জনাব পান্নাকে আহত অবস্থায় সুপ্রীম কোর্ট বার ভবন চেম্বারে নিয়ে আসেন।
অত:পর সুপ্রীম কোর্টের অবস্থানরত সকল আইনজীবীরা ছুটে আসেন এবং তার জুনিয়র এসোসিয়েট আইনজীবীরা তাকে সুপ্রীম কোর্ট বার সমিতি ভবন থকে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য নিকটস্থ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণের পর, তিনি আবার সুপ্রীম কোর্ট বার সমিতি ভবনে চলমান ভোট গণনায় ফিরে আসেন।
জনাব জহিরুল ইসলাম খান পান্না একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একজন সিনিয়র এডভোকেট, তিনি বাংলাদেশের আইন অঙ্গনের একজন খ্যাতিমান প্রবীণ আইনজীবী এবং প্রথিতযশা মানবাধিকার কর্মী। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের লিগ্যাল এইড এন্ড হিউম্যান রাইটস কমিটির চেয়ারম্যান ও নির্বাচিত সদস্য এবং বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের একজন সদস্য, এছাড়াও তিনি আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ব্লাস্ট, নাগরিক উদ্দ্যোগ সহ আরো মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় আইনজীবী পরিষদের সভাপতি।
তার উপর অতর্কিত হামলার খবর শুনে বাংলাদেশের আপামর আইনজীবীদের মধ্যে কৌতূহল এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং সুপ্রীম কোর্ট বার সমিতিতে থাকা আইনজীবীরা তাকে দেখতে তার চেম্বারে ভীড় জমাচ্ছেন। তিনি এখন কিছুটা সুস্থ আছেন এবং আশংকামুক্ত।
তার উপর এহেন হামলার কারণ এবং কারা করেছে এই সম্পর্কে কিছুই জানা যায় নি। তবে জানা যায় যে সন্ধ্যার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর একটি হল থেকে র্যাব তিনজন ছাত্রকে তুলে নিয়ে গেলে ছাত্ররা টি,এস,সি,র সামনের রাস্তা অবরোধ করে ও কিছু গাড়ি ভাংচুর করে।
Discussion about this post