হাসান মুরসালিন: সমগ্র সিরাজগঞ্জ জেলায় জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে ব্যাপকহারে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি চলছে। ১৭ই মে শনিবার হতে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পৌরসভা ও সকল ইউনিয়নে দেখতে পাওয়া ১৭০৮টি কুকুরের মধ্যে ১৩৫৯টি কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধক টিকাপ্রদান করা হয়। ১৮ই মে রবিবার কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ রবিউল ইসলাম সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, ঢাকা হতে আগত এমডিভি কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ সোহেল রানা এমডিভি সুপারভাইজার এইচ এস এম তারিফ সদও উপজেলার বহুলী, শিয়ালকোল ও সয়েদাবাদ ইউনিয়নের কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধ, কুকুরে কামড় দিলে করণীয় ও টিকাপ্রদানকারী দলকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে জনসাধরণকে সচেতন করতে ঢাকার জনপ্রিয় বাবুল সরকার বাউল শিল্পী গোষ্ঠী কালিয়া হরিপুর, বহুলী, ছোনগাছা, শিয়ালকোল ও সয়েদাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ও ঘাটে গান পরিবেশন করেন। ব্যাপকহারে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার এমডিভি কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ সোহেল রানা বলেন যে, দেশে কুকুরের কামড়ের আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি ব্যাপকহারে কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকাপ্রদানের মাধ্যমে দেশ হতে জলাতঙ্ক নির্মূল করা সম্ভব। একটি নির্দিষ্ট এলাকার ৭০ ভাগ কুকুরকে প্রতিবছর পরপর তিনবার জলাতঙ্ক প্রতিষেধক টিকাদান করা হলে ঐ এলাকার কুকুরগুলোতে জলাতঙ্ক হবে না। ফলে মানুষের মাঝেও এ রোগ হওয়ার সম্ভবনা কমে যাবে। তিনি আরও বলেন যে, বাংলাদেশ সরকার দেশকে জলাতঙ্ক ম্ক্তু ঘোষনা করার পূর্ব পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক নিতে হবে। উল্লেখ্য, ১৭ই মে কর্মসূচির প্রথম দিনে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পৌরসভা ও সকল ইউনিয়নে দেখতে পাওয়া ১৭৪৬টি কুকুরের মধ্যে ১৩২৮টি কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধক টিকাপ্রদান করা হয়।
Discussion about this post