এস এইচ সৈকত, বিডি ল নিউজঃ ‘দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিল আব্দুল আলী।
কমিটিতে অনেকবার তাকে পদায়নের চেষ্টা করেও পারিনি। সে বলতো- কর্মী হয়ে দলের জন্য খাটছি, এইতো ভালো। সম্প্রতি বিএনপি বিরোধী একটি মিছিলে তিন শতাধিক কর্মী সমাগম
করেছিল আব্দুল আলী।’ এভাবেই দলের বিবেদিত প্রাণ কর্মী নিহত আব্দুল আলীর
কথা বলছিলেন সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইকবাল আহমদ।
বিডিলনিউজকে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা তাকে বাঁচতে দেয়নি।
ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির একক আধিপত্য ধরে রাখতে শামীম তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে আব্দুল আলীকে খুন করিয়েছে। শামীম যুবলীগের কোনো পর্যায়ের নেতা নয় উল্লেখ করে ইকবাল আহমদ বলেন, এরপরও সরকার দলের নাম ভাঙিয়ে বছরের পর
বছর তিনি পাথর কোয়ারির আধিপত্য ধরে রেখেছেন। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। এর আগেও কোম্পানিগঞ্জ পাথর রাজ্যের ‘অধিপতি’ শামীম আহমদ আরও
৪/৫টি খুন করেছেন বলেও জানান উপজেলা যুবলীগের এই নেতা।
আব্দুল আলী হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে শামীমের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন দলের নেতারা। ইকবাল
আহমদের এই বক্তব্যের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ
করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির
মছব্বির। এদিকে খুনের ঘটনায়
গ্রেফতার হওয়া চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন আলফু মিয়া পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে
খুনের সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায়
উপজেলার পশ্চিম
রনিখাই ইউনিয়নের
মনপুরা প্রাথমিক
বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে খুন হন আব্দুল আলী। ওই বিদ্যালয়ের কোটি
টাকার একটি কাজের টেন্ডার পেয়েছিলেন তিনি। ওইদিন সকালেই ইঞ্জিনিয়ার
নিয়ে বিদ্যালয়ে যান
তিনি। সিলেটের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বিডিলনিউজকে বলেন, আলফু মিয়াও
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে
খুনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
খুনীরা নিহতেরই
আত্বীয়। এ ঘটনায় ৭
জনকে গ্রেফতার
করা হয়েছে উল্লেখ
করে তিনি বলেন,
পলাতক অন্যদেরও
গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আব্দুল আলী খুনের
নেপথ্যেঃ দেশের বৃহৎ
কোম্পানিগঞ্জ
উপজেলার ভোলাগঞ্জ
পাথর কোয়ারি বছরের
পর বছর একক
আধিপত্য ধরে রাখেন
কথিত যুবলীগ
নেতা শামীম। বছর খানেক ধরে স্থানীয়
আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক
আপ্তাব আলী কালা মিয়ার গ্রুপও
কোয়ারিতে আধিপত্য
বিস্তার করেছে।
Discussion about this post